দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক। তার বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তে উঠে আসা অভিযোগের মধ্যে কয়েকটি পয়েন্টে অবশ্যই চোখ আটকাবে এ দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের। জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব গোপন করায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধের ঘটনাটি আবারও সামনে নিয়ে আসলো স্ট্রিকের এই নিষেধাজ্ঞা। কারণ যে সময়ের কর্মকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে স্ট্রিককে একই সময়কালের ঘটনায় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিবও।
টেলিগ্রাফের ক্রিকেট বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদন নিক হল্টের কথায়ও সেটার প্রমাণ মিলেছে। হিথ স্ট্রিকের নিষিদ্ধের খবর শেয়ার দিয়ে নিক টুইট করেছেন, ‘স্ট্রিক কড়া নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় সাকিবের কেইসের সাথে সংযোগের বিষয়টি সামনে এলো।’
আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট- আকসুর দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৭ সালে বিপিএল চলার সময় ভারতীয় জুয়াড়ি দিপক আগারওয়াল সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব। আকসুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আগারওয়ালকে সাকিবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তারই পরিচিত এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তিকে আগারওয়াল অনুরোধ করেছিলেন বিপিএলের কিছু খেলোয়াড়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে। সে দফা সাকিবের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু বার্তা বিনিময় হয়েছিল আগারওয়ালের, সেখানে তিনি দেখা করতে চেয়েছিলেন তার সঙ্গে।
এদিকে, হিথ স্ট্রিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ‘মিস্টার এক্স’ নামের এক ব্যক্তি তার সাথে যোগাযোগ করে বিপিএলের বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়, অধিনায়ক ও মালিকদের নম্বর চান। মিস্টার এক্স জানান এতে তারা ভালো আয় করতে পারবেন এবং সেই অর্থ জিম্বাবুয়েতে নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর পেছনে ব্যয় করতে পারবেন। এটি প্রতীয়মান হয় যে স্ট্রিক তাকে বেশ কিছু খেলোয়াড়ের কন্টাক্ট দিয়েছিলেন যাদের মাধ্যমে ‘মিস্টার এক্স’ ম্যাচের তথ্য, টিমের ভেতরকার খুঁটিনাটি জানার সুযোগ পেয়েছিলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ‘মিস্টার এক্স’ নামের সেই ব্যক্তিকে স্ট্রিক একজন জাতীয় অধিনায়কসহ বিপিএলের তিন ক্রিকেটারের বিবরণী দেন। তিনি জানতেন এই খেলোয়াড়দের থেকে প্রাপ্ত তথ্য জুয়ার কাজে লাগানো হবে। এদের মাঝে দু’জনের সঙ্গে ‘মিস্টার এক্স’কে নিয়ে কথাও হয় স্ট্রিকের।