Image default
ইসলাম

যে ৭ শ্রেণীর আমলকারীর জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন

উত্তম আমলকারীকে মহান আল্লাহ পচ্ছন্দ করেন। শুধু তাই নয় তার জন্য রয়েছে পুরস্কার। মুমিন ব্যক্তি সবসময় আমল করতে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। মুমিনের এমন কিছু আমল আছে, যেগুলো পালন করলে ফেরেশতাদের দোয়া পাওয়া যায়।

৭ ধরণের মানুষের জন্য স্বয়ং ফেরেশতারা দোয়া করেনঃ আসুন জেনে নেই তারা কারা ?

১। ওযু অবস্থায় ঘুমানো ব্যক্তিঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , ” যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ( ওজু অবস্থায় ) ঘুমায় তার সাথে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকে । অতঃপর সে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথেই আল্লাহতালার সমীপে ফেরেশতাটি প্রার্থনায় বলে থাকে , হে আল্লাহ ! তোমার অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দাও , কেননা সে পবিত্রাবস্থায় ঘুমিয়েছিল । ” ( আল ইহসান ফি তাকরির সহীহ ইবনে হিব্বান ৩ / ৩২৮-৩২৯ )

২। সালাতের জন্য মসজিদে অপেক্ষারত ব্যক্তিঃ আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , ” তোমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি যখন ওযু অবস্থায় সালাতের অপেক্ষায় বসে থাকে সে যেন সালাতেই রত । তার জন্য ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকে , হে আল্লাহ ! তুমি তাকে ক্ষমা করো , হে আল্লাহ ! তুমি তার প্রতি দয়া করো । ” ( সহীহ মুসলিম ৬১৯ )

৩। প্রথম কাতারে সালাত আদায়কারীঃ বারা ‘ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন , ” প্রথম কাতারের নামাযীদেরকে নিশ্চয়ই আল্লাহতালা ক্ষমা করেন ও ফেরেশতারা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে । ” ( সহীহ ইবনে হিব্বান )

৪। রাসূল ( সাঃ ) এর প্রতি দুরূদ পাঠকারীঃ ” যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওপর দুরূদ পাঠ করবে আল্লাহতালা তার ওপর সত্তর বার দয়া করেন ও তার ফেরেশতারা তার জন্য সত্তরবার ক্ষমা প্রার্থনা করবে । অতএব বান্দারা অল্প দুরূদ পাঠ করুক বা অধিক দুরূদ পাঠ করুক ( এটা তার ব্যাপার ) । ” ( সহীহ ইবনে হিব্বান )

৫। রোগী পরিদর্শনকারীঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , যে কোন মুসলিম তার অপর মুসলিম ভাইকে দেখতে যায় , আল্লাহতালা তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরণ করেন , তারা দিনের যে সময় সে দেখতে যায় সে সময় থেকে দিনের শেষ পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে এবং সে রাতের যে সময় দেখতে যায় সে সময় । থেকে রাতের শেষ পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে । ” ( সহীহ ইবনে হিব্বান ২৯৫৮ )

৬। মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়াকারীঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , কোন মুসলিম তার অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া করলে তা কবুল করা হয় এবং তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে । যখনই সে ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দোয়া করে তখন সে নিযুক্ত ফেরেশতা বলে , আমীন অর্থাৎ হে আল্লাহ ! কবুল করুন এবং তোমার জন্য অনুরূপ । ” ( তোমার ভাইয়ের জন্য যা চাইলে আল্লাহ তোমাকেও তাই দান করুন । ) ( সহীহ মুসলিম ৮৮ )

৭। কল্যাণের পথে দানকারীঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , ” প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা অবতরণ করেন , একজন বলেন , হে আল্লাহ ! দানকারীর সম্পদ বাড়িয়ে দাও । আর অপরজন বলেন , হে আল্লাহ ! যে দান করে না তার সম্পদকে বিনাশ করে দাও । ” ( বুখারী ১৪৪২ )
আল্লাহ আমাদেরকে আমলগুলো পরিপূর্ণভাবে করার তৌফিক দাণ করুক । আমিন ।

Related posts

আল আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ

News Desk

পরকালের বিশ্বাস, সফল জীবনের পাথেয়

News Desk

রোজার নিয়ত ও সেহরি-ইফতারের দোয়া

News Desk

Leave a Comment