চারপাশেই আছে, হয়তো চিনতে পারছি না আমরা!

(১) নরম দিল হওয়া।
যাদের অন্তর নরম হবে, যারা খোশ মেজাজের অধিকারী হবে, সর্বদা আল্লাহভীতু হয়, কারো কোনো ক্ষতিকারক নয়, ধৈর্যশীল ব্যক্তি, এমন লোক জান্নাতী হবে।
” জান্নাতে প্রবেশ করবে এমন ব্যক্তি যাদের অন্তরসমূহ হবে পাখির অন্তরের ন্যায়।”
_(মুসলিম, জান্নাত ও তার নেয়ামত সমূহের বর্ণনা অধ্যায়, হাদিস নং: ২৮৪০)

(২) দুর্বল অসহায় হওয়া।
জান্নাতে গরীব-মিসকিন, ফকির, পরমুখাপেক্ষী, দুর্বল লোকদের সংখ্যাধিক্য হবে। পক্ষান্তরে যারা তাদের বিপরীত হবে, অর্থাৎ অহংকারী, দুশ্চরিত্র ও ঝগড়াটে ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
হারেসা ইবন ওহাব (রাঃ) নবী করীম (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন:
“আমি কি তোমাদেরকে জান্নাতি লোকদের গুণাবলীর কথা বলব না? সাহাবাগণ বললেন: হ্যাঁ বলুন। তিনি বললেন, প্রত্যেক দুর্বল, লোক চোখে হেয়, কিন্তু সে যদি কোন বিষয়ে আল্লাহর নামে কসম করে তাহলে আল্লাহ্ তার কসম পূর্ণ করবেন।” অতঃপর তিনি বললেন: আমি কি তোমাদেরকে জাহান্নামী লোকদের কথা বলব না? তারা বললেন: বলুন। তিনি বললেন: ” প্রত্যেক ঝগড়াকারী, দুশ্চরিত্র, অহংকারী ব্যক্তি।”
_(মুসলিম, হাদিস নং: ২৮৫৩)

(৩) নম্র-ভদ্র ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।
নম্র-ভদ্র, মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য ও মানুষের কাছের লোক, যাকে মানুষ বিপদ আপদে কাছে পায়, এমন খোশ মেজাজ, পরিচিত ও ভাল লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ ধরনের লোকের জন্য আল্লাহ্ তা’আলা জাহান্নামকে হারাম করে দিয়েছেন।
” প্রত্যেক নরম দিল ভদ্র এবং মানুষের সাথে মিশুক লোকদের জন্য জাহান্নাম হারাম। যাদের জন্য জাহান্নাম হারাম তারা অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
_(আহমদ, ১/৪১৫, হাদিস নং: ৩৯৩৮)

(৪) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসরণকারী জান্নাতে যাবে।
“আমার সমস্ত উম্মত জান্নাতে যাবে তবে ঐ সমস্ত লোক ব্যতীত যারা অস্বীকার করে। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করল হে আল্লাহর রাসূল! কে অস্বীকার করে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার নাফরমানী করে সে অস্বীকার করে।”
_(বুখারি, কুরআন ও সুন্নাহকে আকড়ে ধরা বিষয় আলোচনা অধ্যায়, হাদিস নং: ৭২৮০)

(৫) সালাম দেওয়া, খাবার খাওয়ানো ও তাহাজ্জুদ আদায়কারী।
“হে লোক সকল, তোমরা সালামের প্রসার ঘটাবে, লোকদের খাদ্য দিবে, মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকবে (শেষ রাতে) তখন (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় করবে।তাহেল তোমরা শান্তি ও নিরাপদে জান্নাতে দাখেল হতে পারবে।
-(তিরমিযি (ইফাঃ) ২৪৮৭, ইবনু মাজাহ (ইফাঃ) ১৩৩৪,৩২৫১)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জান্নাতের অনূভূতি হৃদয়ে পোষণ করে পরকালের সফলতায় নিজেকে তৈরির করার তাওফিক দান করুন রাসূল (ﷺ) -এর দেখানো পথ অনুসরণ করে চলার তৌফিক দিন আমিন।

Related posts

পবিত্র কুরআনের ১ম সূরা আল ফাতিহার বাংলা উচ্চারণসহ অনুবাদ

News Desk

নারীর একাকী ভ্রমণে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহর মদিনা

News Desk

কালেমা তায়্যিবার বিস্ময়

News Desk

Leave a Comment