অনেকেই নিয়মিত ফল খান। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান পাওয়াযায় যা শরীরের জন্য ভীষণ ভাবে উপকারী। ফলে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণ ফাইবার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আবার প্রচুর পরিমাণ ফল খাওয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেন। কারণ তাদের মতে ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক চিনি, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কিন্তু একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ব্যালেন্সডায়েটে যদি বেশি পরিমাণ ফল থাকে তবে সেটা মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে যাদের হজমের সমস্যা আছে, তাদের ফল খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তাই ফল স্বাস্থ্যের জন্য কি ভাবে উপকারী এবং বেশি পরিমাণ ফল খেলেই বা কি সমস্যা হতে পারে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
১. ফল স্বাস্থ্যকর খাদ্য। ফলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে। এই উপাদান গুলো হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হার্টের অসুখের সম্ভাবনা কমায়। এর পাশাপাশি নিয়মিত ফল খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলনিয়ন্ত্রণে থাকে, হজমের উন্নতি হয় ও নানা ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
২. প্রচুর পরিমাণ ফল একসাথে খাওয়া ঠিক নয়। এবং একজন মানুষের পক্ষে কখনোই একসাথে অনেক ফল খাওয়া সম্ভব নয় কারণ ফলে যেহেতু জল ও ফাইবার থাকে তাই ফল খেলে তাড়াতাড়ি পেট ভরে যায়। বরং বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যতোটা পরিমাণ ফল খাওয়া প্রয়োজন বেশিরভাগ মানুষই সেই পরিমাণের থেকে কম ফল খেয়ে থাকেন। ফলে উপস্থিত প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হন। কিন্তু ফলে উপস্থিত চিনি ফ্যাট পরিণত হয়ে পরবর্তী সময়ে দৈহিক কার্যকলাপে ব্যবহারের জন্য জমা হয়ে থাকে। অনেকেই মনে করে এর ফলে ওজন বৃদ্ধি হবে, কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায়পাওয়া গেছে যে বেশির ভাগ ফল বরং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩. ফলের রসের পরিবর্তে গোটা ফল খাওয়া বেশি উপকারী। কারণ ফল থেকে রস বের করার সময়ফাইবার ও অনেক উপকারী পদার্থ বেরিয়েযায়, ফলে শরীরে সঠিক পুষ্টিগুণপৌঁছায় না।
৪. যাঁরা ডায়াবেটিসেভোগেন অনেকেরই একটা ভয় কাজ করে যে ফলের চিনি থেকে তাদের ব্লাড সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তবু চিকিৎসকদের মতে সুগারের রোগীদের ফল খাওয়া জরুরি। কারণ এতে প্রচুর ফাইবার, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন থাকে যা তাদের জন্য উপকারী।