অতিরিক্ত ওজন এখন মাথা ব্যথার কারণ। করোনা কালে দীর্ঘ লকডাউন, জিমে যাওয়ার অভ্যেসটা নষ্ট করে দিয়েছে। তার মধ্যে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে করে উদরদেশ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কাজের চাপে নতুন করে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। এদিকে খাওয়া দাওয়াতেও পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। বাড়ছে ওজন। অনিয়ন্ত্রিত ও অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনতে পারে হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, ছাড়াও নানা উপসর্গের। ওজন কমানোর উপায় খুঁজতে খুঁজতে যখন নাজেহাল, হাজার শরীরচর্চা, এক্সারসাইজ করেও মিলছে না ফল। তখনই রইলো এমন কিছু উপায় যা খুব সহজেই কমিয়ে ফেলতে পারে আপনার ওজন। আসুন দেখে নিই।
১. সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক গ্লাস উষ্ণ গরমজলে অর্ধেক পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। ভুলেও চিনি মেশাবেন না, দরকার হলে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি খেলে পেট পরিষ্কারের পাশাপাশি ওজন ও কমবে।
২. কথায় আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি।’ মাছ শরীরের জন্য উপকারী হলেও চিকিৎসকদের মতে ভাতে রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। যা ওজন বাড়ায়। ওজন কমাতে রোজকার ডায়েট থেকে সরিয়ে ফেলুন ভাত পরিবর্তে খান ব্রাউন রাইস বা বাদামি চাল। ফাইবার যুক্ত খাবার ও বেশি করে খান। ওজন কমবে।
৩. রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চিবিয়ে খেয়েনিন কয়েক কোয়া রসুন, কমবে ওজন।
৪. ডায়েট থেকে ঝেড়ে ফেলুন চিনি। চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে ফল ও সবজি খান। ফল ও সবজিতে আছে ফাইবার , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন ও ভিটামিন রয়েছে যা শরীরে মেটাবোলিজম রেট বাড়ায়, শরীর থেকে দূর করে টক্সিন। ফলে কমে ওজন।
৬. ৭ দিন ডায়েট থেকে বাদ দিন মাছ, মাংস, ডিম। মাছ খেলেও খান চামড়া বাদ দিয়ে দিন।
এই নিয়মগুলি কঠোর ভাবে মেনে চললে দেখতে পারবেন যে সাতদিনেই বেশ খানিকটা ওজন কমে গেছে।