বেশিরভাগ মানুষই ভোজনবিলাসী। আর বাঙালি হলে তো কোনো কথাই নেই। উৎসবে, পুজো পার্বণে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার জন্য থাকে এক বিপুল আয়োজন। আর জমিয়ে খাওয়া দাওয়া হলে মাংস ছাড়া রসনাতৃপ্তি সম্পূর্ণ হয় না, খাওয়ার প্লেটে মাংস চাই। নববর্ষ, দুর্গাপুজো , ঈদ হোক বা ক্রিসমাস পাঁঠা, শুকর, গরু, ল্যাম্ব ইত্যাদি নানা রকমের রেড মিট আমরা খেয়ে থাকি। অনেকেই নিয়মিত রেড মিট ভক্ষণ করে থাকেন। কিন্তু রেড মিট খাওয়ার এই প্রবনতা ডেকে আনছে মারাত্বক বিপদ। এমনিতেই যাঁরা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ, ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভোগেন চিকিৎসকরা তাদের রেড মিট খেতে না করেন।অনেকেই প্রায়শই ব্রেকফাস্টে বেকন, হ্যাম জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন বা নিয়মিত মশলা দার রেড মিটের পদ খেয়ে থাকেন। এই প্রবনতা অত্যন্ত বিপদ জনক।

সম্প্রতি ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজি নামক এক সংস্থা প্রায় ২০০০০ জনের ওপর একটি গবেষণা করেছেন, যাঁরা প্রায়শই রেড মিট খান তাঁদের হার্টের রোগের প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। এছাড়াও দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত রেড মিট খান তাদের হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট জনিত অসুখের কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এই গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত রেড মিট খেলে হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা করে, হার্টের আকারে পরিবর্তন হয়, শিরা উপশিরায় স্থিতিস্থাপকতা কমে। এছাড়াও হার্টের বিভিন্ন কার্যকলাপ কে ব্যাহত করে।

এই জন্য গবেষকদের তরফে বলা হয়েছে এই নিয়মিত রেড মিট খাওয়ার অভ্যেস হার্টের প্রভূত ক্ষতি সাধন করে। এর পাশাপাশি যাঁরা স্মোকিং করেন, মদ্যপান করেন, নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না তাদের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা আরও বেশি। গবেষকদের তরফে ডঃ রাইসি এস্তাবারঘ বলেছেন “ নিয়মিত রেড মিত খাওয়া কখনই উছিত নয়। নিয়মিত রেড মিত খেলে টা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বহু গুনে বারিয়ে দেয়। যার ফলের মানদ দেহের হৃদপিণ্ডের নানা ক্ষতি হয়।

Related posts

পেনসিলভানিয়া মা মেয়ের বিরল ব্যাধি নিরাময়ের জন্য ‘নিখুঁত ম্যাচ’ অস্থি মজ্জা দাতা খোঁজেন: ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন’

News Desk

মেরি লু রেটনের নিউমোনিয়া: সংক্রমণ কখন প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে? বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা সংকেত শেয়ার করেন

News Desk

নিয়ম পরিবর্তনের সাথে সাথে হাজার হাজার মেডিকেড হুইপ্ল্যাশের সম্মুখীন হয়

News Desk

Leave a Comment