Image default
আন্তর্জাতিক

ভারতে প্রায় ৯ হাজার মানুষ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ আক্রান্ত

মহামরি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে গোটা ভারতে প্রকোপ শুরু হওয়া মিউকরমাইকোসিস অর্থাৎ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৯ হাজার জনের দেহে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আজ শনিবার এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্র সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকের সংক্রমণকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করে সব রাজ্যকে সতর্ক করে দিয়েছে। এদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর দেশটিতে আরও বিপজ্জনক হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাকে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

ভারতের কেন্দ্রীয় সার ও রসায়নিক বিষয়ক মন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া শনিবার বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সারা দেশে এই মুহূর্তে মোট ৮ হাজার ৮৪৮ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ বিবেচনায় রাজ্যগুলোকে এর ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৮৪৮ জনের মধ্যে গুজরাটে ২২৮১ মহারাষ্ট্রে ২০০০ ও অন্ধ্রপ্রদেশে ৯১০ জন রোগীর শরীরে এর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে; যা দেশে মোট সংক্রমণের ৫৮.৬৬ শতাংশ।

রোগটি মূলত করোনা রোগীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। অতিরিক্ত স্টেরয়েড নেওয়া, বেশি দিন হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা অথবা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ছত্রাকের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর উৎস শাকসবজি, মাটি, ফল ও একই মাস্ক প্রতিদিন পরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কোভিডের মতো এটি সংক্রামক নয়। সাধারণত আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, নাক-চোখ লাল হওয়া, দৃষ্টি কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও রক্তবমির মতো উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাজ্য সরকারগুলোকে জানিয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিশেষত, করোনার সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষ, যারা স্টেরয়েড থেরাপি নিচ্ছেন ও যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা এ সংক্রমণে বেশি ভুগছেন।

কেন্দ্র সরকার মহামারি ঘোষণার ফলে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজকে মিউকরমাইকোসিসের শনাক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাজ্যগুলোকে দেওয়া চিঠিতে নির্দেশ দিয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি পেতেও শুরু হয়েছে হাহাকার। ইতোমধ্যে এই অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ওষুধ তৈরির জন্য পাঁচটি কোম্পানিকেনতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

Related posts

ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

News Desk

সুইডেন-ফিনল্যান্ডকে ন্যাটো জোটে নিতে তুরস্কের সমর্থন

News Desk

ভ্যাকসিন নিয়ে বিভাজনের সমালোচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

News Desk

Leave a Comment