কানাডার লিবারেল পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপি উইলিয়াম অ্যামোস। গত বুধবার তার যোগ দেওয়ার কথা ছিল হাউজ অব কমন্সের বৈঠকে। করোনা মহামারির কারণে জুম কনফারেন্স’র মাধ্যমে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শুরু হলে উইলিয়াম অ্যামোসকে দেখা যায় সম্পুর্ণ নগ্ন অবস্থায়।
অবশ্য, নিজের ইচ্ছায় নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে আসেননি উইলিয়াম অ্যামোস। যখন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়, তিনি পোশাক পরিবর্তন করছিলেন। আকস্মিকভাবে তার ল্যাপটপের ক্যামেরা চালু হয়ে যায়। ভার্চ্যুয়াল অধিবেশনে তাকে নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়। কুইবেক থেকে নির্বাচিত এমপি উইলিয়াম অ্যামোস ওই ভার্চ্যুয়াল অধিবেশনে কোনো বক্তব্য দেননি। ওই সময় পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছিল।
বুধবারই টুইটে বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চান উইলিয়াম। ৪৬ বছর বয়সী এই সাংসদ বলেন, ‘আমি আসলেই ভয়াবহ এক ভুল করে ফেলেছি। অবশ্যই এ জন্য আমি বিব্রত। জগিং শেষ করে ফিরে যখন পোশাক পরিবর্তন করছিলাম, তখন দুর্ঘটনাবশত ল্যাপটপের ক্যামেরা চালু হয়ে গিয়েছিল। এ জন্য পার্লামেন্টে আমার সব সহকর্মীর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। সততার সঙ্গে বলছি, এটা ছিল একটি ভুল। আর কখনো এমনটি হবে না।’
কানাডার গণমাধ্যমগুলো বলছে, উইলিয়াম যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নগ্ন থাকেন তাহলে হাউজ অব কমন্সের নির্দেশনা ভঙ্গ করে থাকতে পারেন। সেখানে ‘রুলস অব অর্ডার অ্যান্ড ডেকোরাম’ অনুযায়ী, পার্লামেন্ট অধিবেশনের সময় কোনো সুনির্দিষ্ট ড্রেসকোড নেই। তবে বক্তব্য রাখার সময় সেখানে ন্যূনতম একটি মানের পোশাক পরার বিধান আছে। তা হলো একটি জ্যাকেট, শার্ট এবং টাই পরতে হবে।