বিশ্বের অন্যন্য জায়গার মতো ভারতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিখ্যাত স্থাপত্যগুলিকে সরক্ষণ করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। আর সেই মতো মুম্বই সদর দফতর সাপিও অ্যানালিটিক্স যা একটি ডেটা ম্যানেজমেন্ট সংস্থা, তারা ভারতের দ্বিতীয় শতাব্দীর বিখ্যাত বিসি অজন্তা গুহার চিত্রগুলি ডিজিটাল সংরক্ষণের সহায়তা কাজ করছে। অদূর ভবিষ্যতে যাতে এই সমস্ত দূর্লভ চিত্রগুলি সুরক্ষিত থাকে এবং আগামী প্রজন্ম এগুলি দেখতে পায় তার জন্য এই পদক্ষেপ।
অজন্তার চিত্রগুলিকে একটি ডিজিটালাইজড ফর্মে তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের ঔরঙ্গাবাদ জেলার অজন্তা গুহাটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য সাইটেও রয়েছে। আর্কটিক ওয়ার্ল্ড আর্কাইভ প্রকল্প অংশ হিসাবে নরওয়ের সাভালবার্ড নামে একটি দ্বীপে এগুলি সংরক্ষণ করে রাখা হবে।
ভারতের ঐতিহাসিক অজন্তা চিত্রগুলির পাশাপাশি বিশ্বের ভ্যাটিকান গ্রন্থাগারের পাণ্ডুলিপি, রাজনৈতিক ইতিহাস, বিভিন্ন যুগের মাস্টারপিস, বৈজ্ঞানিক যুগান্তকারী এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির মতো মূল্যবান সম্পদগুলিও ডিজিটাল শিল্পকলার মাধ্যমে সংরক্ষিত করে রাখা হচ্ছে।
যদি কেউ সাপিয়ো অ্যানালিটিক্স দ্বারা ডিজিটাইজেশনের এই উদ্যোগের প্রক্রিয়াটি আরও গভীরভাবে দেখতে চায় তবে মানুষ দেখতে পারে ইউকে এবং সিলিকন ভ্যালির কাজটি । যেখানে তারা এআই প্রাচীন মানচিত্রটি বিকাশের জন্য রেফারেন্স কাজের একটি ডেটাসেট ব্যবহার করেছেন, যা প্রাচীন এআই নামে পরিচিত।
লন্ডনে অবস্থানরত অজান্তাচের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ইউআইটিভির চেয়ারম্যান বালকৃষ্ণ চুলুন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, এটি ভারতের একটি শতাব্দি যার ঐতিহাসিক সংস্কৃতি গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা উচিৎ। তিনি আরও উল্লেখ করে জানান, সাপিয়ো অ্যানালিটিক্স এবং ইউআইটিভি উভয়ে ভারত সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলির নানা সংস্কৃতি, শিল্পকলা এবং শিল্পকরার সঙ্গে যুক্ত নানা ঐতিহ্যকে সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে ডিজিটাইজড করার জন্য যুক্ত করে থাকে। এর সঙ্গে বিশ্বের দর্শকদের কাছে ভারতীয় সমসাময়িক শিল্পীদের কাজের প্রচারও করে যাচ্ছেন বলেও জানান চুলুন।
অজন্তার নানা ক্ষতির জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) রুরকি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হয়েছে, যারা এআই তৈরি করছে পুনোরায় এই ঐতিহ্যকে ক্ষয়মুক্ত করে সুরক্ষিত রাখবার জন্য। এছাড়াও এই কাজের জন্য যুক্ত করা হয়েছে নতুন বয়সী প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সহ ফটোগ্রাফার, শিল্পী এবং সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞদেরও।