এক সাংবাদিককে অনবরত হুমকি দিয়ে মেইল পাঠানোয় তোপের মুখে পড়েছেন সুইডেনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত গুই কঙ্গিও। বেইজিংয়ের নীতি ও জিনজিয়াং সম্পর্কিত বিশেষ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সুইডিশ সাংবাদিক জোজ্জে ওলসনকে হুমকি দিচ্ছিলেন গুই। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকে সুইডিশ রাজনীতিবিদরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের আহ্বান জানাচ্ছেন।
ইউরোপভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউরোনিউজ বলছে, জোজ্জে ওলসন নামে সুইডেনের এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিককে ইমেইলে হুমকি দিচ্ছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত গুই কঙ্গিও। সুইডেনের ‘এক্সপ্রেসেন পত্রিকা’য় লিখেন ওলসন। গত শুক্রবার তিনি চীনা দূতাবাসের একটি ইমেইল পেয়েছিলেন।
ওই মেইলে ওলসনের বিরুদ্ধে ‘নৈতিক দুর্নীতি’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে বেইজিংকেন্দ্রিক সমালোচনামূলক লেখা বন্ধ করতে বলা হয়। ওলসনকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘আপনি যা করছেন, এর পরিণতি ভোগ করতে হবে আপনাকে।’ ইউরো নিউজের খবরে আরও বলা হয়েছে, এ বছর হুমকি দিয়ে চারটি মেইল দেওয়া হয়েছে জোজ্জে ওলসনকে। ওলসন জানান, সুইডেনের চীনা দূতাবাসের মেইলের মাধ্যমে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে তিনি বেইজিংয়ের নীতি ও জিনজিয়াং বিষয়ে সমালোচনা করেছিলেন।
একজন রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে এমন হুমকি আসায় তাৎক্ষণিকভাবে গুই কঙ্গিওর বহিষ্কার দাবি করছেন অসংখ্য সুইডিশ রাজনীতিবিদ। তবে গত শনিবার সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন লিন্ডে ওই হুমকিমূলক বার্তাগুলোকে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন। আর এজন্য গুই বহিষ্কার হবেন না বলে মনে করেন তিনি। এদিকে রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে চীন। স্টকহোমের চীনা দূতাবাস বলেছে, রাজনীতিবিদরা ভুল মন্তব্য করেছেন এবং আমরা এর নিন্দা ও বিরোধিতা করছি।
চীনা দূতাবাস আরও বলেছে, ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধায় বিশ্বাসী একটি দেশ চীন। যখন একজন অন্যকে সম্মান করেন তিনিও সম্মানিত হন। যখন কেউ কাউকে গোলাপ দেয়, তখন তিনি সেটির সৌরভ পান। কিন্তু কেউ যদি কাঁদা ছোড়ে, তার হাত অপরিষ্কারই থাকে।’