নেউজা ব্যাক, স্টেফানি ফ্রাপার্ট ও কারেন ডিয়াজ। ছবি-সংগৃহীত
পুরুষদের ফুটবলে নারী রেফারির উপস্থিতি নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছর ধরে এমন দৃশ্য নিয়মিতই দেখা যায়। কিন্তু পুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবলে নারী রেফারির অংশগ্রহণ এবারই প্রথম। কাতারে হতে যাচ্ছে আরও বড় ইতিহাস। এই প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করতে যাচ্ছে গোটা একটা নারী রেফারি দল।
আজ ‘ই’ গ্রুপের জার্মানি-কোস্টারিকার ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম ঘটতে যাচ্ছে। আলোচিত ম্যাচের মূল রেফারির ভূমিকায় থাকবেন স্টেফানি ফ্রাপার্ট। এক সপ্তাহ আগেই যিনি ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেছেন। মেক্সিকো-পোল্যান্ড ম্যাচে এই ফরাসি নারী ছিলেন চতুর্থ রেফারি।
সেই ম্যাচের আগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফ্রাপার্ট বলেছিলেন, এটা আমাদের (নারী রেফারিদের) জন্য আনন্দের। কিন্তু এতে করে আমাদের কোনোকিছুই পাল্টাবে না। আমাদের শান্ত থাকতে হবে, মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। মিডিয়ার বাড়তি কথায় কান দেওয়া যাবে না। কেবল মাঠে মনোনিবেশ করতে হবে।
আল খোরে হতে যাওয়া এই ম্যাচে ৩৮ বছর বয়সী স্টেফানি ফ্রাপার্ট ছাড়াও থাকবেন আরো দুই নারী। তারা হলেন ব্রাজিলিয়ান নেউজা ব্যাক ও মেক্সিকান কারেন ডিয়াজ।
২০২০ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম নারী রেফারি হিসেবে অভিষেক হয় ফ্রাপার্টের। এর আগের বছর ইউরোপিয়ান সুপার কাপের ফাইনালে লিভারপুল ও চেলসি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এবার আরও বড় মঞ্চ পাচ্ছেন ফরাসি নারী। ফ্রাপার্ট ছাড়াও এই বিশ্বকাপে নারী রেফারি হিসেবে কাজ করছেন রাওয়ান্ডার সালিমা মুকাসাংগা, জাপানের ইয়োশিমি ইয়াশিতা। পুরুষ ও নারী মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে মোট রেফারি হিসেবে নিযুক্ত আছেন ৩৬ জন।
এবারের কাতার বিশ্বকাপে অনেক কিছুই নতুন। প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য কিংবা মুসলিম দেশে চলছে বিশ্ব ফুটবলের বড় আসর। প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছে ভিএআরের অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। এমন অনেক প্রথমের সাক্ষী হওয়া কাতারের ফুটবল মহাযজ্ঞ এখন আরেকটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের অপেক্ষায়।