উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর যেসব লোকজন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদেরকে নিজ দেশে ভ্রমণের অনুমতি দিচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এসব ভ্রমণকারীকে ভ্রমণের আগে করোনা পরীক্ষা করতে হবে না এমনকি সুইজারল্যান্ডে প্রবেশের পর কোয়ারেন্টাইনেও থাকতে হবে না বলে জানানো হয়েছে।
সিনোফার্মসহ ইউরোপীয়ান মেডিকেল এজেন্সি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেই এখন থেকে সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণ করা যাবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর যেসব নাগরিক ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই গ্রহণ করেছেন তারা কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের অনুমতি পাচ্ছেন। এসব নাগরিকরা ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ভ্রমণ করতে পারবেন।
করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশে পর্যটন শিল্পে ধস নেমে এসেছে। সুইজারল্যান্ডেও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ভ্রমণকারীদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণ কমতে থাকায় জীবন-যাত্রা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সুইজারল্যান্ড সরকার।
আগামী ২৮ জুন থেকে ভ্যাকসিন নেয়া ভ্রমণকারীদের কোয়ারেন্টাইন বা ভ্রমণের পূর্বে করোনা টেস্ট ছাড়াই সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীকে অবশ্যই ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই গ্রহণ করতে হবে।
সুইজারল্যান্ড ট্যুরিজমের জিসিসি পরিচালক মাথিয়াস আলব্রেচত জানিয়েছেন, আগ্রহী ভ্রমণকারীরা আবারও শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া আরব আমিরাতের ভ্রমণকারীদের সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হবে না।
শেনজেন ভিসার অনুমতি পেলে একজন ভ্রমণকারী শেনজেনভুক্ত যে কোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। ইউরোপের ২৬টি দেশ শেনজেন এলাকার অন্তর্ভূক্ত।
মাথিয়াস আলব্রেচত বলেন, আমি মনে করি যদি কেউ ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই গ্রহণ করেন তবে তার ভ্রমণের আগে পিসিআর টেস্ট করা জরুরি নয়। তবে নিজ দেশে ফেরার সময় তাদের অবশ্যই পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।
ট্রাভেল বোর্ডের প্রধান বলেন, ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। জিসিসিভুক্ত দেশগুলো থেকে ভ্রমণে আগ্রহী লোকজনের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে। লোকজন এখন তাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।