ভয়ঙ্কর সে দিন আসছে। একটি মার্কিন গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে যে, মে মাসের মাঝামাঝি ভারতে প্রতিদিন কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। ওয়াশিংটনের ইন্সটিটিউট অফ হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভোল্যুশন-এর গবেষকরা ১৫ই এপ্রিল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। যাতে বলা হয়েছে, মে থেকে আগস্ট- এর মধ্যে ভারতে তিন লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটবে। কানপুরের আইআইটির গবেষকরা এই কথা মানছেন যে, মে মাসের মাঝামাঝি ভারতে কোভিড আক্রমণ তুঙ্গে পৌঁছাবে। কিন্তু দ্রুতগতিতে উঠে মে মাসের শেষের দিকে ঝপ করে নেমে যাবে এই সংক্রমণের হার।
বিশিষ্ট চিকিৎসকরা কোভিডের এই চেইন ভাঙতে অন্তত ১০ দিন কঠোর লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছেন। বিশ্ববিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট অবশ্য লকডাউনের বিপক্ষে। তারা জানাচ্ছে, মানুষ যত খোলা জায়গায়, বদ্ধ ঘরের বাইরে থাকবে ততো সংক্রমণ ছড়ানোর আশংকা কমবে।
ভারতে শুক্রবার কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৩ লাখ ৪৬ হাজারে।
এর মধ্যে ২ হাজার ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এক দিনেই। তিনদিনে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌছালো। সঠিক সংখ্যাটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার। ভারতের পরেই একদিনে আক্রান্তের সংখ্যায় আছে ব্রাজিল- ৬৯ হাজার ৭১৯ জন, তৃতীয় স্থানে ৬৪ হাজার ৬৪২ জন নিয়ে আমেরিকা। বিশ্বের কোভিড আক্রান্তের ৩৭ শতাংশই ভারতের। ঠিক যেমন পশ্চিম বাংলার মোট আক্রান্তের ৪০ শতাংশই কলকাতার। পশ্চিমবঙ্গে শুক্রবার কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৭৬। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী মৃত ৫৯ জন। পশ্চিম বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৩ হাজার ১৮০ জন। মোট মৃত্যু ১০ হাজার ৮২৫ জন। শুক্রবার এক কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৪৬ জন। কার্যত বাংলার আক্রান্ত ৪০ শতাংশই কলকাতার। কোভিডের প্রথম সার্জ এর সময় বয়স্কদের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার আনুপাতিক হার ছিল ৮০-২০ শতাংশ। এবার অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি প্রায় ৬০-৪০ শতাংশ। সব কিছু মিলিয়ে ভারতের কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ।