এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে আগাম সাধারণ নির্বাচন হলে লেবার পার্টি জিতবে, আসন হারাবে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। সবকটি জনমত জরিপে এমন চিত্র উঠে এলেও বাস্তবতা হলো আগাম নির্বাচন আদায় করে নেওয়ার পরিবেশ এখনও তৈরি করতে পারেনি লেবার পার্টি।
কনজারভেটিভ পার্টিতে যিনি নেতা নির্বাচিত হবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী। ফলে তিনি যেন যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কঠিন সময়টা যথাযথভাবে পার করতে পারেন এটাই লক্ষ্য আইনপ্রণেতাদের।
শনিবার সকালে ডমিনিকান রিপাবলিক থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে তড়িঘড়ি ব্রিটেনে ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় প্রধানের লড়াইয়ে অংশ নিতেই এই দেশে ফেরা তার।
লিজ ট্রাস ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে বরিস জনসন পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ বক্তব্যে বলেছিলেন, তিনি আবারও ফিরে আসবেন।
ব্রেক্সিট, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কঠিন সময়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বরিস। বিপর্যস্ত ব্রিটেনের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার ফিরে আসার পথে বাধা হতে পারে করোনার সময়কার পার্টিগেট কেলেঙ্কারি। তবে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে সবদিক থেকে এগিয়ে তিনি। নির্বাচনে যারা প্রার্থী তাদের মধ্যে একমাত্র বরিস জনসনেরই প্রধানমন্ত্রী পদে জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রভাবশালী নেতা এবং সাবেক টেলিভিশন তারকা পেনি মরডেন্টের নামও আলোচনায় রয়েছে। ঋষি সুনাক এখন পর্যন্ত দলীয় সমর্থনের দৌড়ে কৌশলগতভাবে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে। লিজ ট্রাসের সঙ্গে সবশেষ দলীয় নেতা নির্বাচনের দৌড়ে দলের কাউন্সিলদের ব্যালটে ২১ হাজার ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন। ঋষি সুনাকের স্ত্রীর ট্যাক্স পরিশোধ বিষয়ক বিতর্ক আর লকডাউনের নিয়ম ভাঙ্গার দায়ে জরিমানার মুখে পড়েন তিনি। এ ঘটনা তার বিরুদ্ধে নেতিবাচকতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে,ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেউ যুক্তরাজ্যে ডানপন্থী দল হিসেবে বিবেচিত কনজারভেটিভ পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে সেটি নতুন এক ইতিহাসের জন্ম দেবে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানও রয়েছেন লড়াইয়ে। এছাড়াও গত নেতৃত্ব লড়াইয়ের সবচেয়ে নবীন প্রার্থী রাজনীতিক কেমি ব্যাডনোচও রয়েছেন অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ে। তবে লিজ ট্রাসের পর এ কঠিন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদে দলীয় এমপিরা পেনি মরডেন্ট,সুয়েলা ব্রেভারম্যান বা কেমি ব্যাডনোচের মতো অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ নারীর ওপর কতটা ভরসা রাখতে পারবেন, সে প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।