করোনাভাইরাসের ধাক্কায় নাজুক ভারতের পাশে দাঁড়াল কেনিয়া। সম্প্রতি ভারতে ১২ টন খাদ্য পাঠিয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দরিদ্র দেশটি। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে কেনিয়ার হাইকমিশন।
ভারতে নিযুক্ত কেনিয়ান হাইকমিশনার উইলি বেট বলেছেন, মহামারি পরিস্থিতিতে ভারতের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে চেয়েছে কেনিয়া। ভারতের সরকার এবং জনগণের পাশে থাকতেই পাঠানো হয়েছে এ সাহায্য।
কেনিয়ার দেয়া খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে চা, কফি এবং বাদাম। সেগুলো হস্তান্তর করতে দিল্লি থেকে মুম্বাই গিয়েছিলেন বেট।
বহুকাল ধরেই ক্ষুধা, দরিদ্রতা ও অপুষ্টিতে ভুগছে কেনিয়া। সেই দেশটিই ভারতের মতো বড় দেশকে সাহায্য পাঠিয়ে মানবতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে, প্রতিবেশী দেশে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের মুখে কয়েক দফায় সাহায্য পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। গত ৬ মে প্রথম চালানে ১০ হাজার ‘ভায়াল’ রেমডেসিভির ইনজেকশন হস্তান্তর করা হয়। এরপর ১৮ মে চারটি ট্রাকে ২ হাজার ৬৭২ কার্টন করোনা প্রতিরোধী ইনজেকশন, ক্যাপসুল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্তত ১৮ প্রকারের ওষুধসামগ্রী পাঠায় বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশি পণ্যে চীনের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের ঘটনাকে ‘খয়রাতি’ আখ্যা দিয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকাসহ কলকাতাভিত্তিক একাধিক সংবাদমাধ্যম। ভারত-চীন চলমান উত্তেজনার মধ্যেই বেইজিংয়ের কাছে ৯৭ শতাংশ বা ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পায় বাংলাদেশ।
‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেইজিং’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ঢাকাকে দেয়া চীনের বাণিজ্য সুবিধার কথা বলতে গিয়ে ‘খয়রাতি’ শব্দটি ব্যবহার করে আনন্দবাজার পত্রিকা। এতে ক্ষুব্ধ হয় বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এর সমালোচনা করা হয়।
পরে অবশ্য নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চায় আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ। তবে মানুষ এখনো সেই কথা ভুলে যায়নি। ভারত কেনিয়ার সাহায্য নেয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসে সেটাই প্রমাণ হয়।