ক্লারিসা ওয়ার্ড, সিএনএনের একজন টিভি রিপোর্টার। সম্প্রতি তার বেশকিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিগুলোতে তাকে বিভিন্ন পোশাকে দেখা গেছে। কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দাবি করে, তালেবান ক্ষমতায় আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার পোশাক বদলে গেছে। যদিও এই বিষয়ে, ক্লারিসা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
একটি ছবিতে ক্লারিসা ওয়ার্ডকে পশ্চিমের প্রফেশনাল পোশাকে দেখা গেছে। অন্য একটি ছবিতে তাকে ইসলামি পোশাকে দেখা যায়। এই পোশাক সাধারণত শিয়া মুসলিম মহিলারা পরেন। অনেকেই বলছেন, তালেবানদের ভয়ে ক্লারিসা তার পোশাক পরিবর্তন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্লারিসা তিনি বলেন, এই ছবিগুলো ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রথম ছবিটি একটি প্রাইভেট কম্পাউন্ডার ভেতরে তোলা, দ্বিতীয়টি কাবুলের। অতীতে রিপোর্টিংয়ের জন্য যখনই আমি কাবুলের রাস্তায় যাই, আমি সবসময় মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করতাম। যদিও আমার মাথা পুরোপুরি ঢাকা ছিল না এবং আমি আবায়া পোশাকে ছিলাম না। অবশ্যই একটি পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু এটি ছবিতে যা দেখানো হয়েছে সেই স্তরের নয়।
আন্তর্জাতিক রিপোর্টার হিসেবে ইসলামিক অনেক দেশ পরিদর্শন করেছেন ক্লারিসা। ২০১২ সালে তিনি সিরিয়ার আলেপ্পো শহর থেকে রিপোর্টিং করেছিলেন। পরের বছর তিনি মিশর থেকে রিপোর্টিং করেন। ২০১৪ সালে, তিনি আবার সিরিয়ায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে আমেরিকান এবং নেদারল্যান্ডস জিহাদিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
২০১৯ সালে, ওয়ার্ড আফগানিস্তানের তালেবান শাসিত অঞ্চলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিপোর্টিং করেন। তিনি তালিবান নেতাদের সাক্ষাতকারও নিয়েছিলেন। ২০২১ সালেই স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তার প্রতিবেদনের জন্য সমালোচিত হন এবং তাকে ‘প্যারাসুট সাংবাদিক’ বলে অভিহিত করা হয়।
মঙ্গলবার আফগানিস্তান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গনি সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর পর প্রথম সংবাদ সম্মেলন করে তালেবান। সেখানে নারীদের অধিকার প্রসঙ্গে তালেবানের নীতি নিয়ে মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘তারা (নারীরা) আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে যাচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে চাই যে কারো মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না।’