ট্রাম্পের বাড়িতে পাওয়া নথির হলফনামা প্রকাশ। ছবিঃ বিবিসি
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়িতে পাওয়া নথির হলফনামা প্রকাশ করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) মার্কিন বিচার বিভাগ ওই হলফনামা প্রকাশ করে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) প্রকাশিত এই হলফনামায় গত ৮ অগাস্ট ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টে তল্লাশির কারণ সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
হলফনামায় জানানো হয়, ট্রাম্প অতি গোপনীয় নথি অবৈধভাবে সরিয়েছিলেন কিনা কিংবা সরকারি রেকর্ড অবৈধভাবে গোপন করেছিলেন কিনা তা তদন্ত করে দেখতে এফবিআই তল্লাশি চালায় বলে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচারক ব্রুস রেইনহার্ট সম্পাদিত ওই হলফনামা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তল্লাশি পরোয়ানা অনুমোদনও করেছিলেন এই বিচারক। বলেছিলেন শুক্রবার দুপুরের মধ্যে প্রকাশ করতে।
হলফনামাটি একধরনের শপথ বিবৃতি। তল্লাশি পরোয়ানা চাওয়ার কারণের পক্ষে বিচার বিভাগকে এতে তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়। কেউ অপরাধে অভিযুক্ত না হলে সাধারণত এই নথি জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয় না। কৌসুঁলিরা তদন্তের স্বার্থে এই হলফনামা সিলগালা করে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকটি গণমাধ্যম এটি প্রকাশের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়। হলফনামার বিষয়বস্তু জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বলে যুক্তি দেখিয়েছিল তারা।
ট্রাম্প নিজেও এর আগে হলফনামাটি প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার বিচারক রেইনহার্ট নথিটি প্রকাশের আদেশ দেন। তবে তিনি এও বলেন যে, সাক্ষী ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সদস্যদের পরিচয়ের পাশাপাশি সরকারের তদন্ত ও কৌশল এবং গ্র্যান্ড জুরির বিষয়বস্তু সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাসহ কিছু নথি গোপন রাখার বৈধ কারণ বিচার বিভাগের আছে।
এই গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য হলফনামাটির বেশ কিছু অংশ সম্পাদনা করা হয়েছে কিংবা কালো করে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সব নথি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল আর্কাইভে জমা দেওয়াই নিয়ম।
কিন্তু ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার সময় অতি গোপনীয় নথি অবৈধভাবে সরিয়েছিলেন কিনা কিংবা সরকারি রেকর্ড অবৈধভাবে গোপন করেছিলেন কিনা তা তদন্ত করে দেখতেই এফবিআই তল্লাশি চালায়। টাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে ওই তল্লাশিতে ২০ টিরও বেশি বক্সে ১১ সেট গোপনীয় সরকারি নথি পাওয়ার কথা জানিয়েছিল এফবিআই। সেগুলোর কয়েকটি ‘টপ সিক্রেট’ হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়।
তবে মার্কিন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো ধরনের অপকর্ম করার কথা অস্বীকার করে আসছেন এবং ওই নথিগুলো গোপন নয় বলেই তার দাবি।
এমকে