জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করার পাশাপাশি অন্য দেশগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে বিশ্বের দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে চীনের সাংহাইতে দেশটির জলবায়ু দূত শি ঝেনহুয়া এবং মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরির মধ্যে কয়েকটি বৈঠকের পর দেশ দু’টির পক্ষ থেকে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
রোববার (১৮ এপ্রিল) দেওয়া ওই বিবৃতিতে কার্বণ নিঃসরণ কমাতে উভয়পক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রথম শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জলবায়ু ইস্যুতে বিশেষ দূত হিসাবে চীন সফর করলেন। দেশ দু’টির মধ্যে নানা বিষয়ে উত্তেজনা ও দ্বিমত থাকলেও, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উভয় দেশ একত্রে কাজ করতে সম্মত হলো।
এর আগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির মধ্যস্ততায় ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে একতরফা ভাবে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জলবায়ু ইস্যুতে চলতি সপ্তাহে ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর চীন এই বিষয়ে আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছে বেইজিং। তবে অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে এই সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যোগ দেবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।
রোববার দেওয়া ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জলবাযু পরিবর্তন মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের সঙ্গে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে কার্যকর ভাবে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা ও তা দ্রুত কার্যকর ভাবে মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।