যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনা টিকা নিয়ে ‘রক্ত জমাট বাঁধার’ ঘটনার সম্ভাব্য প্রমাণ পেলেও তার ঝুঁকি খুবই কম জানিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এটিকে ‘বিরল’ বলে তালিকাভূক্ত করা উচিত বলে জানিয়েছে ইউরোপীয়ান মেডিক্যাল এজেন্সি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইএমএ মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জনসনের টিকার সাথে রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঘটনার সম্ভাব্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এরকম ঘটনা বিরল। আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চেয়ে জনসনের টিকার উপকারিতা অনেক বেশি। বিবিসি এ খবর জানিয়ে লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৭০ লাখের বেশি মানুষ জনসনের এই টিকা নিয়েছেন। তাদের মাত্র আট জনের দেহে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। যা টিকার ক্ষেত্রে খুবই বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যাদের রক্ত জমাট বেঁধেছে তাদের একজন মারা গেছেন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড টিকা নিয়েও রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঘটনা ঘটে। এতে করে উদ্বিগ্ন অনেক দেশ টিকাটির ব্যবহার বাতিল করার পর গত মাসে ওই টিকা নিয়েও চলতি মাসের শুরুতে একই ধরনের অবস্থানের কথা জানিয়েছিল ইএমএ।
ইএমএ মঙ্গলবারের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গকে জনসন টিকার খুব ‘বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার’ তালিকাতেই রাখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রে টিকা নিয়ে তিন সপ্তাহ পর ৬০ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এটা দেখা গেছে। তাদের বেশির ভাগই ছিলেন নারী।’
ইউরোপেও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আরও জানায়, ‘রক্তে অণুচক্রিকা (প্লাটিলেট) কম থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সম্পর্ক এর একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে। কিন্তু কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি যতটা বেশি, টিকা গ্রহণের কারণে সেটা হওয়ার ঝুঁকির তার চেয়ে অনেক কম।’
তাই ইএমএ বলছে, ‘কারও দেহে একসাথে অণুচক্রিকা কম থাকায় এবং টিকা নেয়া ফলে রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গ দেখা দেয়াটা খুবই বিরল। সবচেয়ে বড় কথা হলো, জনসনের টিকা নিয়ে এমন বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মতো ঝুঁকির চেয়ে উপকারিতা অনেক বেশি।’