বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবার করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নতুন এই ধরনটির নাম ‘ল্যাম্বডা’। এটি ২০২০ সালের আগস্টে পেরুতে প্রথম চিহ্নিত হয়। তারপর থেকে অন্তত ২৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ধরনকে জায়গা দিয়েছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইনটেরেস্ট’ তালিকায়। তাদের বক্তব্য, ল্যাম্বডা স্ট্রেনকে এই মুহূর্তে পর্যবেক্ষণে রাখা জরুরি। খুব শিগগিরি হয়তো আলফা, বিটা, ডেল্টা, গামা-র মতো একেও জায়গা দিতে হবে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ তালিকায়।

সংস্থাটির সাপ্তাহিক বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে ল্যাম্বডা স্ট্রেনের ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়া দেখেই একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইনটেরেস্ট’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের ধরনগুলোকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটিতে রাখা হয়েছে সেই সব ধরনকে, যেগুলো মহামারির মতো সমস্যা তৈরি করছে। অন্য ভাগে থাকা ধরনগুলো নিরীহ, অর্থাৎ ভয়ের কারণ নেই। হু জানিয়েছে, ল্যাম্বডা স্ট্রেনটিকে তারা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, এটির সংক্রমণ ক্ষমতা ক্রমেই বেড়েছে। অ্যান্টিবডির ক্ষমতাও নষ্ট করে দিচ্ছে এটি।

এ পর্যন্ত ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ তালিকায় থাকা স্ট্রেনগুলোই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। যেমন ব্রিটেনে চিহ্নিত আলফা স্ট্রেন, ব্রাজিলের গামা স্ট্রেন, ভারতে চিহ্নিত ডেল্টা স্ট্রেন। এর মধ্যে ডেল্টা স্ট্রেনকে ১১ মে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইনটেরেস্ট’ তালিকাভুক্ত করেছিল হু। কিন্তু তার পরেই এর দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া ও মারণ ক্ষমতা দেখে এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ তালিকায় ঢোকানো হয়। ল্যাম্বডাও তেমনই খেল দেখাবে নাকি, সে নিয়ে উদ্বিগ্ন হু।

এদিকে, বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার ১৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪৩ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৬ কোটি ৩১ লাখ ৪ হাজার ১২৫ জন। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৯ জন আর ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯২০ জন মারা গেছেন।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার ৭৬৪ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৮৫ হাজার ১৬৭ জন।

ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৭৮ লাখ ২ হাজার ১৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২১ জনের। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Related posts

কোভিড-১৯ এর প্রায় হুবহু একটি ভাইরাস শনাক্ত চীনে

News Desk

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ২৪ মন্ত্রীর একসঙ্গে পদত্যাগ

News Desk

এডেন সাগরে নৌকা ডুবে ৩৪ শরণার্থীর মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment