রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কিনে নিয়েছেন মার্কিন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। টুইটারের পরিচালনা পর্ষদ ইলন মাস্কের এই অধিগ্রহণ প্রস্তাব গ্রহণও করেছে।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে সদ্য মালিকানা পাওয়া ইলন মাস্কের অধীনে টুইটারের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগরওয়ালের চাকরি নিয়ে। বৈশ্বিক সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট এই সংস্থাটির সিইও’কে তার পদ থেকে অপসারণ করা হলে তিনি কত টাকা পেতে পারেন; সেটি নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মাইক্রোব্লগিং সাইটের মালিকানা বদলের পরে সিইও পদ থেকে পরাগ আগরওয়ালকে সরতে হতে পারে বলে জল্পনা উঠেছে। আর তেমনটি ঘটলে চুক্তি অনুযায়ী বিপুল অংকের অর্থ পাবেন এই কর্মকর্তা।
এক্ষেত্রে গবেষণা সংস্থা ইকুইলার’র একটি হিসাবও সামনে এনেছে রয়টার্স। গবেষণা সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও’র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে চুক্তি অনুযায়ী ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবেন পরাগ আগরওয়াল। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৬১ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
মূলত ১২ মাসের মধ্যে সিইও’র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে এই অর্থ পাবেন পরাগ। ইকুইলারের তথ্য অনুযায়ী, পরাগের এক বছরের বেতন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধা মিলিয়েই এই টাকা পাবেন তিনি। যদিও টুইটারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে পৃথক এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইলন মাস্কের অধীনে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভবিষ্যৎ ‘অন্ধকার’ বলে মন্তব্য করেছেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগরওয়াল। সোমবার (২৫ এপ্রিল) সংস্থাটির কর্মীদের কাছে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটারের প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়াল সোমবার কর্মীদের বলেছেন, বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের অধীনে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। একইসঙ্গে টুইটারের ভবিষ্যতের কার্যপ্রণালী ব্যহত হবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। কর্মীদের উদ্দেশে টাউন হল মিটিংয়ে পরাগের দেওয়া এই বক্তব্য রয়টার্স শুনেছে।
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগরওয়াল বলেন, ‘টুইটার এক বার হস্তান্তর হয়ে গেলে আমরা জানি না এই প্লাটফর্মটি কোন দিকে যাবে, কিভাবে কাজ করবে।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে দায়িত্বে নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল। এর আগে তিনি টুইটারের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) ছিলেন।
২০১১ সালে টুইটারে কাজ শুরু করেছিলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পিএইচডি ডিগ্রিধারী। এরপর থেকে পরাগের উত্থান চোখে পড়ার মতো। ২০১৭ সালে সিটিও হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই সংস্থার শীর্ষ পদে দায়িত্ব নেন পরাগ। তবে মালিকানা বদলের পর সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট এই প্রতিষ্ঠানে তিনি স্থায়ী থাকতে পারেন কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।