পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর ও দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধুর রাজধানী করাচির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় করাচি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে একটি মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে গাড়িতে থাকা ৩ জন চীনা নাগরিক ও ১ জন পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২ জন; তাদের মধ্যে ১ জন চীনা ও অপরজন পাকিস্তানি। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে এবং নিহতদের ৩ জনই চীনের নাগরিক— এ তথ্য পাকিস্তানের দৈনিক পত্রিকা ডনকে নিশ্চিত করেছেন করাচি ইউনিভার্সিটির এক মুখপাত্র।
নিহতরা হলেন হুয়াং গুইপিং, ডিং মুপেং, চেন সা ও সেই মাইক্রোবাসের ড্রাইভার খালিদ। এছাড়া গাড়িতে থাকা ওয়াং ইউকিং ও হামিদ নামে অপর দু’জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মাইক্রোবাসটি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্স ফ্যাকাল্টি ভবনের পাশ ঘেঁষে নিকটবর্তী কনফুসিয়াস সেন্টারের দিকে যাচ্ছিল, সেসময়ই আচমকা গাড়িটির ডানদিকে বিস্ফোরণ ঘটে।
নিহতদের মধ্যে হুয়াং গুইপিং কনফুসিয়াস সেন্টারের পরিচালক ছিলেন; আর ড্রাইভার খালিদ ব্যাতীত বাদবাকিরা ছিলেন ওই সেন্টারের শিক্ষক।
টেলিভিশন ফুটেজে একটি সাদা মাইক্রোবাসে আগুন জ্বলতে ও এর অবশিষ্টাংশ থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডুলি উঠতে দেখা গেছে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উদ্ধারকারী বিভাগের লোকজনের উপস্থিতি দেখা গেছে।
ডন জানিয়েছে, সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহকে এক টেলিফোনে নিহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন প্রাদেশিক পুলিশের মহাপরিদর্শক মুস্তাক আহমেদ মেহের।
প্রাথমিকভাবে অবশ্য অনেকেই ধারণা করছেন, গাড়ির ভেতর সিএনজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তবে পুলিশ জানিয়েছে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সিন্ধু প্রদেশিক পুলিশের ডিআইজি মুকাদ্দাস হায়দার ডনকে বলেন, ‘এটা বোমা বিস্ফোরণ না কি অন্য কোনো ঘটনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টি নিয়ে আমাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে।’