ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের সংঘাতের অবসানে ‘শান্তি উদ্যোগ’ আয়োজনে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন উপসাগরীয় এই রাষ্ট্রের ডি-ফ্যাক্টো শাসক ও আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান। দু’দিন আগে যে দেশটির মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে; রোববার সেই মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বশেষ ভয়াবহ যে সংঘাত ইসরায়েল এবং গাজা উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাসের মধ্যে গত ১০ মে শুরু হয়েছিল; শুক্রবার তার অবসান ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর মাধ্যমে।
আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ডব্লিউএএম শেখ মোহাম্মদের বরাত দিয়ে বলেছে, গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি রক্ষা, উত্তেজনা প্রশমন এবং শান্তি অর্জনের জন্য নতুন পথের সন্ধানে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে আমিরাত প্রস্তুত।
গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথ ধরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সুদান এবং মরক্কো। ওই সময় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের নিন্দা জানায়। কয়েক দশক ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পথে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিকের ওই উদ্যোগ অচলাবস্থা তৈরি করবে বলেও জানায় ফিলিস্তিন।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতাইবা গত মাসে বলেছিলেন, আব্রাহাম অ্যাকর্ড অনুযায়ী ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চ্যানেল স্থাপনের ফলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসানে মিসর ও জর্ডানের মতো উপসাগরীয় অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে একই ধরনের কূটনৈতিক ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।
গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে মিসর এবং কাতারের সম্পর্ক রয়েছে; সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আঞ্চলিক প্রচেষ্টায় এ দুই দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত ১০ মে শুরু হয়ে ১১ দিন ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে ২৩২ ফিলিস্তিনি ও ১২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।