যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিল জার্মানি। বুধবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুলাইয়ের প্রথম দিক থেকেই তারা তাদের সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা তাদের সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেবে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের এই প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ১ মে থেকে। তবে ওইদিন শুধু মার্কিন বাহিনীই নয়, আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিতে শুরু করবে ন্যাটো সেনারাও।

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছিল, তালেবান যদি প্রতিশ্রতি রক্ষা করে, তা হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট আফগানিস্তান থেকে পরবর্তী ১৪ মাসের (২০২১ সালের মে) মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের চিন্তা হচ্ছে সেনা প্রত্যাহারের সময়কাল কমিয়ে আনা। আগামী ৪ জুলাই থেকে এই প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ন্যাটোর পক্ষ থেকে নেওয়া হবে বলেও জোর দেন তিনি। ন্যাটোর ৯ হাজার ৬০০ সদস্যের শক্তিশালী প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা মিশন রয়েছে আফগানিস্তানে।

এর মধ্যে মার্কিন সেনাবাহিনী অন্তর্ভুক্ত এবং ন্যাটো ওয়াশিংটনের সামরিক শক্তির ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। ন্যাটোতে বর্তমানে ৩৬টি সদস্য ও অংশীদার দেশের সদস্যরা রয়েছেন।

১ হাজার ১০০ সেনা নিয়ে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম সৈন্য দল রয়েছে জার্মানির। তালেবান এবং আফগান সরকারের মধ্যে শান্তি আলোচনায় অচলাবস্থার পরও সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ।

সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আফগানিস্তান থেকে তার দেশের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকি আফগানিস্তান থেকে অন্য দেশে সরে গেছে এবং ওয়াশিংটনকে চীন ও মহামারীর মতো বিষয়গুলোতে এখন নজর দিতে হবে।

Related posts

চীনের সঙ্গে কাজ করতে চান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

News Desk

সৌদি সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

News Desk

করোনায় বিশ্বে আরো ৩ হাজার মানুষের প্রাণহানি

News Desk

Leave a Comment