প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯১৮ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারী উভয়ই ইতিহাসের ধ্বংসাত্মক ঘটনা ছিল।তাহলে কেন একটি ঘটনার স্মৃতিচিহ্নগুলি অন্য ঘটনা কে আড়াল করে দিয়েছিল?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই এবং অবসান ঘটেছিল ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর।বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে প্রাণঘাতী এক ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।প্রায় ৯ মাস পরে যুক্তরাষ্ট্র এই ফ্লু কে “স্প্যানিশ ফ্লু” হিসেবে চিহ্নিত করে। সেই সময় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশ করা হয়েছিল বলে,এই ফ্লু এর নামকরণ করা হয়,”স্প্যানিশ ফ্লু” নামে।
যুদ্ধের পরে ১৯১৮ সালের ফ্লু মহামারীটি এমন এক সময়ে বেড়েছিল যখন ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে অভাব দেখা দিচ্ছিল,যুদ্ধকালীন অর্থনীতির সাথে মোকাবিলা করে মানুষ জীবনযাপন করছিল এবং সেই সময়ে অনেকের প্রিয়জনই বিদেশে সেবা করায় নিযুক্ত ছিলেন।
প্রথম সংকট শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় বৈশ্বিক সংকট শুরু হয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ধ্বংসাত্মক ছিল, যার ফলে বিশ্বজুড়ে প্রায় 20 মিলিয়ন লোক মারা গিয়েছিল।প্রাণঘাতী ফ্লু তে আক্রান্ত হয়ে ১৯১৮ সালের মহামারী তে মৃত্যু আরও বিস্ময়কর ছিল,প্রায় ৬ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার আমেরিকান সহ কমপক্ষে ৫০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে মারা গিয়েছিল। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঘটনা সেই মহামারীকে ছাপিয়ে গিয়েছিল এবং ফ্লুতে প্রায় অবিশ্বাস্যরকম প্রাণহানি ঘটেছিল।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের জনস্বাস্থ্য জরুরী প্রস্তুতির বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানী,মণিকা শচ-(স্প্যানিস এইচডি) বলেছিলেন, “যখন ফ্লুর প্রভাবের সমাধান হয়, তখন লোকেরা এক ধরণের সম্মিলিত স্মৃতিচারণে জড়িত । “যদিও একই সময়ে যুদ্ধের সম্মিলিত ট্রমা তখনও ছিল ।
এবং তাই আপনারা যুদ্ধোত্তর অনুষ্ঠান, স্মারকচিহ্ন এবং স্মৃতিস্তম্ভগুলির প্রস্তুত প্রক্রিয়া করেছিলেন।”