স্যাম আসগরির সঙ্গে সংসার ভাঙার বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন পপ কুইন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ব্রিটনির সোজাসাপ্টা কথা, তাঁদের সংসার ভাঙাগড়ার বিষয়টি নিয়ে বাইরের কারও মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
বিবিসি আজ রোববার জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে এক পোস্টে বিচ্ছেদ নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪১ বছর বয়সী এই পপ সংগীতশিল্পী।
ব্রিটনি স্পিয়ার্স ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে লিখেছেন, ‘এ কথা কারও অজানা নয় যে আমি আসগরির সঙ্গে আর থাকছি না। আমি কিছুটা বিপর্যস্ত। আমি কারও কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চাই না। আমি মনে করি, সত্যিই এটি কারও মাথা ঘামানোর বিষয় না।’
এর আগে আসগরি তাঁদের বিচ্ছেদের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলেও স্পিয়ার্সের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল না। স্পিয়ার্সের বক্তব্যের জন্য ভক্তদের বেশ কৌতূহল ছিল।
গত শুক্রবারের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ব্রিটনি স্পিয়ার্স বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি শক্ত থাকার। আমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় এই সমস্যার কোনো প্রভাব না-ও দেখা যেতে পারে। অনেক সময় আমার আবেগ এবং অশ্রু দেখাতে চাইলেও কিছু কারণে সব সময়ই আমাকে আমার দুর্বলতাগুলোকে লুকিয়ে রাখতে হয়েছে।’
ব্রিটনি আরও লিখেছেন, ‘আমি যদি নিজেকে শক্ত না রাখতাম, যদি ভেঙে পড়তাম, তাহলে কবেই আমাকে ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে হতো। হয়তো আমাকে দূরে চলে যেতে হতো। কিন্তু আমার পরিবারের সঙ্গে থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
ভক্তদের আশ্বস্ত করে পপ কুইন জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব ভালো থাকার চেষ্টা করবেন তিনি।
তবে ব্রিটনির বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন স্বামী স্যাম আসগরি। টিএমজেড জানিয়েছে, ব্রিটনি স্পিয়ার্সের দ্বারা মারধরের শিকার হতেন স্যাম। এমনকি তাঁর কালো চোখ, হাতে কামড়ানোর দাগ নাকি সে কারণেই হয়েছিল।
বিচ্ছেদ নিয়ে এর আগে ইনস্টাগ্রামে আসগরি বলেন, ‘ছয় বছর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার পর আমার স্ত্রী আর আমি এই যাত্রা শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান ধরে রাখব। সব সময় তার মঙ্গল কামনা করি। ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করা হাস্যকর মনে হয়। তাই মিডিয়াসহ সবাইকে বলব বিষয়টিতে সদয় আর চিন্তাশীল হতে।’
অভিনেতা ও ফিটনেস ট্রেইনার আসগরির এটি প্রথম বিয়ে হলেও স্পিয়ার্সের তৃতীয়। ২০১৪ সালে বাল্যবন্ধু জেসন আলেক্সান্ডারকে বিয়ে করেছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। পরে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। এরপর র্যাপার কেভিন ফেডারলিনের সঙ্গে সংসার শুরু করেন। ২০০৭ সালে সেই সম্পর্কেরও ইতি ঘটে। ওই সংসারে দুই সন্তান রয়েছে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের।