এলেন, ঝলক দেখালেন আবার হারিয়ে গেলেন। এমন করেই কেটে গেল তার সাতটি বছর; কিন্তু গত কয়েক বছরে নিজেকে ফিরে পাওয়ার ছন্দ পেয়েছেন তিনি। আর সেই ছন্দ ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। আবার সফলও হয়েছেন। বলছি সাবিলা নূরের কথা।
নামেও যেমন নূর রয়েছে, তেমনি নাটকেও নিজের নূর ছড়িয়ে যাচ্ছেন একের পর এক। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবারের ঈদে। বিশেষ করে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে ভাঙার চেষ্টা করেছেন। সেই চেষ্টায় দেখা গেছে ‘ব্রেকিং নিউজ’ নাটকে।
মফস্বলের এক সাংবাদিক অপূর্ব। আর সেই সাংবাদিকের স্ত্রীর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন সাবিলা, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আবার একই জুটির ‘পাশের বাসার ছেলেটি’ নাটকে টিনএজার এক মেয়ের ভূমিকায় অসাধারণ মানিয়ে গেছেন তিনি। প্রথম দেখাতেই অপূর্বের প্রেমে পড়েন সাবিলা; কিন্তু বিয়ে ঠিক হয় অপূর্বের বড় ভাইয়ের সঙ্গে। এর পর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।
চঞ্চল প্রকৃতির এক মেয়ের চরিত্রে অন্যরকম সাবিলাকে দেখতে পেয়েছেন দর্শক। আবার ‘তেজপাতা’ নাটকে মধ্যবিত্ত পরিবারের বধূ হিসেবেই নিজেকে উপস্থাপন করেছেন অসাধারণ দক্ষতায়। বউ-শাশুড়ির সৃষ্ট দ্বন্দ্বে নাটকটি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। আবার ‘ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ম্যাথ’ নাটকে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রাখা হয় কলকাতার অভিনেতা ঋষি কৌশিককে। সঙ্গে ছিলেন সাবিলা ও অপূর্ব। এতেও সাবিলার ঝলকানি দেখা গেছে।
এ ছাড়া ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’ টেলিছবিতেও সাবিলা-অপূর্ব জুটির রসায়ন মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। এবারের ঈদে বলতে গেলে এ জুটির কারিশমা বিনোদিত করেছে নাটকের জগতকে।
ঈদুল ফিতরে সাবিলা অভিনীত সাতটি নাটক ও একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রচার হয়েছে। দর্শকের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমেও প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।