Image default
বিনোদন

অ্যাভাটার ২ দেখাতে গিয়ে ক্র্যাশ করছে জাপানের সব মুভি প্রজেক্টর

জেমস ক্যামেরনের ব্লকবাস্টার সায়েন্স ফিকশন সিনেমা ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ মুক্তির পরেই বিশ্বজুড়ে হুলুস্থুল পড়ে গেছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তেই বক্স অফিসে আয় করেছে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যেখানে এটির নির্মাণ ব্যয় ২৫ কোটি ডলার!

সিনেমাটি এখন বিশ্বব্যাপী বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু জাপানে ঘটছে উল্টোটা। সেখানে বাস্কেটবল নিয়ে অ্যানিমে সিনেমা ‘দ্য ফার্স্ট স্ল্যাম ডাঙ্ক’ শীর্ষে রয়েছে। এর মানে কিন্তু এ নয় যে, জাপানিদের মধ্যে অ্যাভাটার নিয়ে আগ্রহ কম। এর পেছনে প্রধান কারণ প্রযুক্তিগত। 

প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই অ্যানিমেটেড সিনেমাটির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোতে পারছে না অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার। সম্প্রতি ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে ওয়াল্ট ডিজনির সিনেমা মুক্তির সপ্তাহান্তে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে। সারা দেশে কিছু সিনেমার প্রদর্শনের ক্ষেত্রে স্ক্রিনিং সরঞ্জামে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। 

জেমস ক্যামেরনের অ্যাভাটার সিক্যুয়েল দেখতে যাওয়া দর্শকেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ শো বাতিলের খবর পেয়েছেন। টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার সময় প্রেক্ষাগৃহের কর্মীরা মেশিনের সমস্যার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। কমপক্ষে একটি প্রেক্ষাগৃহ অ্যাভাটারের ফ্রেম রেট অর্ধেকে নামিয়ে কোনোরকম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে। 

হলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার। এ সিনেমা নির্মাণে অনেকগুলো অত্যাধুনিক ভিজ্যুয়াল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। 

এর মধ্যে একটি হলো উচ্চ ফ্রেম রেটের থ্রিডি ফরম্যাট। এই ফরম্যাটের সিনেমা প্রদর্শনের জন্য বিপুল পরিমাণ ডেটা দ্রুত প্রক্রিয়া করার দরকার পড়ে। এটি প্রদর্শনের জন্য সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি দরকার। কিন্তু প্রযুক্তির হালনাগাদের ক্ষেত্রে জাপানিদের মধ্যে অনীহা পৃথিবী–বিখ্যাত! জাপানের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সে জায়গায় এখনো স্থবির হয়ে রয়েছে। সম্প্রতি বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের সরকারি অফিসগুলোতে এখনো সিডি ও ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হয়! 

অবশ্য অ্যাভাটার প্রদর্শন করতে গিয়ে মুভি প্রজেক্টর ক্র্যাশ করার সঠিক কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও জাপানের নাগোয়া শহরের একটি থিয়েটার প্রয়োজনীয় ফ্রেম রেট (প্রতি সেকেন্ডে ৪৮ ফ্রেম) কমিয়ে স্টান্ডার্ড ফ্রেম রেট অর্থাৎ ২৪ এফপিএস-এ নামিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছে বলে জানা যাচ্ছে। 

থিয়েটারটি টুইটারে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর অ্যাভাটার: ওয়ে অব ওয়াটার–এর আইম্যাক্স সংস্করণ প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। উচ্চ ফ্রেম রেট (৪৮ এফপিএস) সংস্করণেই প্রদর্শিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা পরিস্থিতির কারণে এখন স্ট্যান্ডার্ড ফ্রেম রেট (২৪ এফপিএস) সংস্করণে দেখানো হবে।

Source link

Related posts

কোক স্টুডিও কনসার্ট স্থগিত

News Desk

রাখীবন্ধন উৎসবে ছোট ভাই সুশান্তকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট শ্বেতার

News Desk

সত্যজিতের প্রয়াণ দিবসে মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ সিনেমার ট্রেলার

News Desk

Leave a Comment