শিল্পকলা একাডেমিতে নাটক বন্ধ ও প্রতিবাদ সভায় হামলার প্রতিবাদ এবং নাট্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে পথনাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে আরণ্যক নাট্যদল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রবেশদ্বারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। আরণ্যক নাট্যদল ছাড়াও প্রাচ্যনাট এ আয়োজনে তাদের পথনাটকের প্রদর্শনী করবে।
‘নাটক মোদের অধিকার, রুখবে নাটক সাধ্য কার’ শ্লোগান ধারণ করে এ আয়োজনে যে নাটকগুলো প্রদর্শিত হবে সেগুলো হলো— আরণ্যক নাট্যদলের ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ ও প্রাচ্যনাটের ‘স্পিক আউট’। এছাড়াও আরণ্যক নাট্যদল তাদের নাটকের গান পরিবেশন করবে।
আরণ্যক নাট্যদলের ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ পথনাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
প্রদর্শনী উপলক্ষে আরণ্যক নাট্যদলের প্রধান সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শামীমা শওকত লাভলী বলেন, ‘প্রদর্শনী চলাকালীন নাটক বন্ধ করে দেওয়া ও তার প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় হামলা করার মত যে ন্যক্কারজনক ঘটনা নাট্যাঙ্গনে ঘটে গেল, তা দেখে আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নাট্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। দলগুলো নির্বিঘ্নে প্রদর্শনী করতে পারছে না। তাই বলে তো নাটক থেমে যেতে পারে না। রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে না পারলে নাট্যকর্মীরা নিজেরাই তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। হলে নাটক বন্ধ করে দিলে পথে নাটক হবে। এমনই প্রতিবাদের জায়গা থেকে এই পথনাটক প্রদর্শনীর আয়োজন।’
এ আয়োজনে নাটক উপভোগ করা, প্রতিবাদে সামিল হওয়া এবং সেই সাথে নাট্যকর্মীদের নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিশ্চিত করার নিমিত্তে সারাদেশের নাট্যকর্মীদের প্রদর্শনীতে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরণ্যক নাট্যদলের ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ পথনাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর জাতীয় নাট্যশালায় দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী চলাকালীন সময়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদে ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান প্রতিবাদ সভার আয়োজন করলে সভাচলাকালীন হামলা করা হয়। পরবর্তী সময়ে হামলাকারী ও নাট্যকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ হামলার প্রতিবাদে আরণ্যক নাট্যদল পরদিন তাদের ‘কম্পানি’ নাটকের প্রদর্শনী বাতিল করে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবাদস্বরূপ এই পথনাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।