চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে চিঠি দিয়েছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ। নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমায় শাকিবের অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করেছেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে রহমত উল্ল্যাহ দাবি করেছেন, ‘আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও কোনো রকমের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুটিং বাতিল করে দিতেন শাকিব। এ ছাড়া তিনি শুটিং করতে আসতেন নিজের ইচ্ছা মতো সময়ে। অনেক সময় এমন হতো যে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সেট বানিয়ে আমরা তার জন্য অপেক্ষা করতাম। তিনি হয়ত শেষ বেলায় দুই এক ঘণ্টা অভিনয় করার জন্য আসতেন।’
এ ছাড়া ওই চিঠিতে শাকিবের বিরুদ্ধে এক নারী সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগও করেছেন রহমত উল্ল্যাহ। অভিযোগে তিনি লিখেছেন, ‘একবার তিনি (শাকিব) আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। ওই দিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান।’
উল্লেখ্য আশিকুর রহমান পরিচালিত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং ২০১৭ সালে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। কারণ হিসেবে শাকিব খানের অসহযোগিতা অভিযোগ করেছেন সিনেমাটির প্রযোজক। তিনি দাবি করেন, শাকিব বেশ কয়েকবার তাঁকে শিডিউল দিয়েও শুটিং করেননি। আর ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগের প্রমাণপত্র দিতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে রহমত উল্ল্যাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমার আইনজীবী দেখছেন। তাঁর কাছে সব প্রমাণ আছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আমরা আপনাদেরকে তা সরবরাহ করব।’
শাকিব যদি সিনেমাটির বাকি শুটিং না করেন অথবা ক্ষতিপূরণ না দেন, তবে তিনি মামলা করবেন বলেও জানান। তবে শাকিব খান বর্তমানে দেশের বাইরে থাকায় প্রযোজকের এ অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। হোয়াটস অ্যাপে একাধিকবার বার্তা পাঠালেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।