তিরুপতি জেল থেকে পালিয়েছে পুষ্পা। পিছু নিয়েছে পুলিশ। পুষ্পাকে খুঁজতে গঠন করা হয়েছে পুলিশের বিশেষ ইউনিট। তারা শিশাচরম জঙ্গল চষে বেড়াচ্ছে পুষ্পাকে খুঁজতে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় তার রক্তমাখা জামা। তাতে আটটি গুলির দাগ। এরপর সবাই ধারণা করে, পুষ্পা আর বেঁচে নেই। এ ঘটনার পর এলাকাজুড়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুষ্পার সমর্থকেরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে, বাজারে আগুন জ্বালিয়ে দেয়, থানা ঘেরাও করে রাখে। পুলিশও পাল্টা হামলা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ চোখের পানি ফেলে মিডিয়ার সামনে বয়ান করে পুষ্পার প্রতি তাদের ভালোবাসার কথা। অবৈধভাবে পুষ্পা বিপুল অর্থ আয় করলেও এর প্রায় সবটাই ব্যয় করেছে মানুষের কল্যাণে—কারও চিকিৎসার জন্য, লেখাপড়ার জন্য, কারও হয়তো মেয়ের বিয়ে, ক্ষুধার্তকে খাবার দেওয়া—সবকিছুতে পুষ্পার অবদান আছে। পুষ্পা নিখোঁজের এক মাস পরও তাই তার সমর্থকেরা দাঙ্গা চালিয়ে যায়। এলাকাজুড়ে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।
এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ একদিন টিভি চ্যানেলের কাছে একটি ফুটেজ আসে। তাতে দেখা যায়, রাতের আঁধারে একটি বাঘ গর্জন করে পিছু হটছে। আর তার সামনেই পুষ্পা। এ ফুটেজ দেখে পুষ্পার অনুরাগীরা আশা ফিরে পায়। প্রশাসনও সতর্ক হয়। এতক্ষণ যে গল্পটি বলা হলো, সেটা পুষ্পার সিক্যুয়েল ‘পুষ্পা: দ্য রুল’-এর গল্প। ২০২১ সালে মুক্তি পায় প্রথম পর্ব ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’। আল্লু অর্জুন অভিনীত সিনেমাটি ওই বছর রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করেছে। তার পর থেকেই পুষ্পার পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা সবার।
আজ আল্লু অর্জুনের জন্মদিন। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছিল ‘হোয়্যার ইজ পুষ্পা’ ক্যাম্পেইন। গতকাল বিকেলে প্রকাশ করা হলো এ শিরোনামে তিন মিনিটের একটি ভিডিও। তাতে আভাস দেওয়া হয়েছে পুষ্পা: দ্য রুল সিনেমার গল্প কেমন হবে। তবে কবে মুক্তি পাবে, তা জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের পুরোটা চলবে শুটিং ও সম্পাদনার কাজ। আগামী বছরের মাঝামাঝি দর্শকদের মাতাতে হলে আসবে পুষ্পা।