বিতর্কে পড়েছে পরমব্রত-স্বস্তিকার চলচ্চিত্র ‘শিবপুর’। গত বুধবার আয়োজন করা হয়েছিল সিনেমাটির ট্রেলার প্রকাশের অনুষ্ঠান। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে যেমন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যাননি, তেমনি যাননি পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসকে পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁকে নাকি সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে পরিচালক হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানান, ‘না আমাকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। যদি কেউ দাবি করেন আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে, তাহলে মেইল করে বলতে বলবেন আমাকে কোথায় আমন্ত্রণ করা হয়েছিল? এটা ভারতে বোধ হয় প্রথম ঘটল, যে ছবি ট্রেলার লঞ্চে পরিচালককেই আমন্ত্রণ জানানো হলো না। আমন্ত্রণ জানালে অবশ্যই যেতাম, কেন যাব না!’
পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে আর স্বস্তিকার সঙ্গে সংঘাতটা আলাদা আলাদা ইস্যু। আমার সঙ্গে সৃজনশীলতার বিষয় নিয়ে সংঘাত হয়। আমার সৃজনশীলতার মধ্যে মাথা ঘামানো হয়েছিল, সে জন্য মতবিরোধ হয়। স্বস্তিকা যেহেতু আমাকে সমর্থন করেছিলেন, তাই তাকেও হুমকি দেওয়া হয়। তবে বিষয়গুলো না মিটলেও ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। কেউ যদি সেই ইগো ধরে রাখে কী বলব বলুন! সিনেমাটা ভালো তৈরি হয়েছে, সবার মতো আমিও চাই শিবপুর ভালো চলুক। এত ইগো নিয়ে চলা যায় না। আমাকে ডাকলে নিশ্চয় যেতাম। আমি ইগো নিয়ে চলি না। কিন্তু আমাকে তো আমন্ত্রণই করা হলো না, তাহলে কীভাবে যাই! আর স্বস্তিকাকেও অনেক পড়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১১ তারিখ তাঁকে মেইল করা হয়। ফোনও করা হয়নি তাঁকে। এদিকে বাকি সবাইকে কিন্তু আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কেউ কেউ যাননি, কারণ আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি সেটা জেনে।’
অরিন্দম ভট্টাচার্যের কথায়, ‘চিত্রনাট্য লিখলাম, ছবিটা বানালাম, তার পরেও এটা…। রাগারাগি হতেই পারে, তবে যে প্রজেক্টটা হলো, সেটা তো সবারই। আমি তো আমার মতো করে করেছি, যাতে ওরা পাবলিসিটি পান, টাকা পান। আমার দুঃখ হয় এটা ভেবে যে, ইগোটাই বড় হয়ে গেল। আমি তো এবার পরের ছবি নিয়ে ভাবব। তবে অবশ্যই চাইব, ‘শিবপুর’ সবাই দেখুন। কারণ, এটা আমি বানিয়েছি। তবে ছবি মুক্তির সময় যদি ডাকা হয় নিশ্চয় যাব, আমার ইগো নেই। আর না ডাকলে হলে গিয়ে এমনিই দেখে নেব।’
এদিকে সিনেমাসংশ্লীষ্টরা জানিয়েছেন, ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে পরিচালককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না—প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।