৭৮-এই যবনিকা পতন। চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী চিত্র পরিচালক সুমিত্রা ভাবে। দীর্ঘদিন ধরে বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ভরতি ছিলেন সায়েন্দ্রি নামক এক বেসরকারি হাসপাতালে।

১৯৪৩ সালের ১২ জানুয়ারি পুনেতে জন্মগ্রহণ করেন সুমিত্রা ভাবে। ফার্গুসন কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পলিটিক্যাল ও সোশ্যাল সায়েন্স নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

আরও একটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন পলিটিক্যাল সায়েন্স ও সোসিওলজিতে। রুরাল ওয়েলফেয়ার নিয়ে ডিপ্লোমা করেন মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস থেকে। এরপরে বিভিন্ন সংস্থার হয়ে কাজ করতে শুরু করেন। টানা দশ বছর পুনের কার্ভে ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সএ শিক্ষকতা করেন। পরে অন্য কাজে ওই সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে মারাঠি সংবাদ সঞ্চালনার কাজও করেছেন।

সুমিত্রা ভাবে হলেন সেই পরিচালক যিনি মারাঠি চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রথম সিনেমা একটি শর্ট ফিল্ম। নাম ‘বাই’। ৩৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেটি পুরষ্কৃত হয়। ১৯৮৭ সালে তাঁর তৈরি ‘পানি’ নামের শর্ট ফ্ল্মটিও জাতীয় পুরস্কার পায়।

এরপর তিনি মারাঠি চলচ্চিত্র নির্মাতা সুখথানকরের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর ছবি মানুষকে উপহার দেন। দোঘি, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, দোহাভি ফা, বাস্তুপুরুষ, দেবাই,নিতাই, এক কাপ চায়ে, বাধা, ঘো মালা আসলা হাভা, মোর দেখনে জঙ্গল মে , হা ভারত মাঝা , সমহিতা, অস্তু , কাসভ, চাকোরি, লাহা, ডি ফেসেজ অফ টুমোরো, গৌতমস মাদার, ভায়েস বরাবর, জিদ , বেওয়কত বারিস, কথা সারিতা,মাঝি সালা,ফির জিন্দেগী, সংবাদ, একলব্য, সহযোগ, সারসির মতো সেরা সেরা ছবি তিনি বানিয়েছেন।

প্রত্যেক ছবিই বিভিন্ন সময়ে পুরষ্কৃত হয়েছে। অনেক বড় বড় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মারাঠি চলচ্চিত্র জগতে। অনেক দিন ধরেই ভুগছিলেন লাংসের সমস্যায়। সেই সমস্যা নিয়েই ভরতি হন হাসপাতালে। আজ শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।

Related posts

নারীবিদ্বেষী ‘অ্যানিমেল’-এর সাফল্যে উদ্বেগ শর্মিলার

News Desk

১০ দিন পর ধ্যান ভাঙল আরিফিন শুভর

News Desk

বলিউডে অক্ষয়ের ৩০ বছর

News Desk

Leave a Comment