বলিউড ভাইজান সালমান খানের হাত ধরে অনেক অভিনেত্রীই বলিউড যাত্রা শুরু করেছেন। ২০১০ সালে ‘বীর’ সিনেমায় সালমানের বিপরীতে অভিষেক হয় জারিন খানের। যাকে দেখে অনেকেই ক্যাটরিনার মুখের আদলের সঙ্গে অদ্ভুত মিল খোঁজে পেয়েছিলেন। সেই শুরু জারিন আর ক্যাটরিনার তুলনা। গত ১৩ বছরে সেই আলোচনা একটুও কমেনি। যার কারণে যথেষ্ট বিরক্ত জারিন। ক্যাটরিনার সঙ্গে তুলনাই তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য কাল হয়েছে বলে মনে করেন জারিন।
সম্প্রতি ভক্তদের যেমন খুশি প্রশ্ন করার সুযোগ দিয়েছিলেন জারিন। তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। সেখানে একজন জানতে চান, ‘ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ক্যাটরিনার সঙ্গে আপনাকে তুলনা করা হয়েছে, সেটা কীভাবে আপনার ক্যারিয়াকে প্রভাবিত করেছে?’
প্রশ্নের উত্তরে জারিন জানান, ‘আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করি, তখন আমি ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া শিশু ছিলাম। আমার কোনও ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। তাই ক্যাটরিনার সঙ্গে তুলনা শুনে আমার বেশ ভালো লাগত, কারণ আমিও তাঁর ভক্ত। কিন্তু এই তুলনাটাই আমার ক্যারিয়ারের কাল হয়ে যায়, ইন্ডাস্ট্রির লোকজন আমাকে নিজস্বতা প্রমাণের সুযোগই দিল না কখনো।’
হিন্দির পাশাপাশি পাঞ্জাবি, তেলেগু, তামিল সিনেমায় কাজ করেছেন জারিন। কিন্তু সর্বত্রই ক্যাটরিনার ‘কপিক্যাট’ হিসাবে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেকে ‘ফ্যাটরিনা’ বলেও ট্রোল করেছেন অভিনেত্রীকে।
অতীতে এক সাক্ষাৎকারে জারিন জানিয়েছিলেন, ‘বীরের সময়টা আমাকে নির্মাতারা ওজন বাড়াতে বলেছিলেন। কারণ অষ্টাদশ শতাব্দীর রাজকুমারী হিসাবে তেমনই শরীরী গড়ন তাঁরা চেয়েছিলেন। সেটা লোকে ভালো চোখে দেখেনি, আমি যখন কোনও অনুষ্ঠানে গেছি আমাকে ফ্য়াটরিনা বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। মিডিয়াতেও আমাকে নিয়ে ভালো কিছু লেখা হয়নি।’
বলিউডে ‘বীর’-এর পাশাপাশি ‘হাউসফুল ২ ’, ‘হেট স্টোরি ৩ ’, ‘অকসর ২ ’, ‘১৯২১ ’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন জারিন। শেষবার ‘হাম ভি আকালে, তুম ভি আকালে’ সিনেমায় দেখা গেছে জারিনকে। গত দুই বছর ধরে রুপালি পর্দা থেকে দূরে অভিনেত্রী।