কক্সবাজারে এনজিওতে কর্মরত তরুণের কানে ভেসে আসে অদ্ভুত কাহিনি। কোনো এক অজানা ডাক ছোট ছোট শিশুদের ডেকে নিয়ে যায় জলের কিনারে। টেনে নিয়ে যায় সমুদ্রের অতলে। তারপর তাদের আর খোঁজ মেলে না। সে কি পরিবর্তনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে চলবে, নাকি পরিবর্তন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অলৌকিকের মুখোমুখি হবে?
সাইকোলজিক্যাল হরর ঘরানার চারটি ভিন্ন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে দারাজ নিবেদিত চরকি অরিজিনাল অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘ষ’। মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এই অ্যান্থোলজি সিরিজ। এই সিরিজের চতুর্থ ও শেষ পর্ব ‘নিশির ডাক’ মুক্তি পাবে আগামী ২৮ এপ্রিল রাত ১০টা ৫৯ মিনিটে।
এটির পরিচালক নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি প্রথম ওয়েব সিরিজ। এ ছাড়া নুহাশ পরিচালিত এই সিরিজের মাধ্যমে চরকি এই প্রথম ভৌতিক ঘরানার কোনো কনটেন্ট মুক্তি দিয়েছে। এরই মধ্যে পেটকাটা ‘ষ’-এর মুক্তি পাওয়া তিনটি পর্ব ‘এই বিল্ডিংয়ে মেয়ে নিষেধ’, ‘মিষ্টি কিছু’ ও ‘লোকে বলে’ দর্শকমহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই পর্বে দেখা যাবে প্রীতম হাসান, মাসুদা খান, নভেরা রহমান, নাবিল নাসের, আবির, হোসেন ও মুর্তজা জুবায়েরকে।
গান গেয়ে পরিচিতি লাভ করেছেন এই প্রজন্মের তরুণ শিল্পী প্রীতম হাসান। তিনি বলেন, ‘নুহাশের সঙ্গে আমার সব সময় এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করা হয়েছে। আমরা সব সময় নতুন নতুন চিন্তা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। পেট কাটা ‘ষ’ আমাদের জন্য খুব বিশেষ একটা কাজ। সেই সঙ্গে একটা সিরিজে এতগুলা গুণী মানুষ কাজ করেছেন সেটাও আমার জন্য একটা বড় পাওয়া।’
অভিনেত্রী মাসুদা খান বলেন, ‘আমার জীবনে এটা প্রথম অভিনয় করা। প্রথম কাজেই নুহাশ এবং অসাধারণ একটা টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। নিশির ডাকে যে টুইস্টগুলা আছে, দর্শক সেগুলা দেখে খুব মজা পাবে।’
সিরিজের নাম কেন পেটকাটা ‘ষ ’দিয়েছেন—এমন প্রশ্নে নুহাশ হুমায়ূন বলেন, ‘মূর্ধন্য ষ’কে আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে পেটকাটা ষ বলি। কেউ বাংলা ভাষা শিখলেই এই অক্ষরটাকে পেটকাটা ষ বলে ও চেনে। কিন্তু কেন? কোনো বাংলা বই বা কোথাও কিন্তু পেটকাটা ষ লেখা নেই। খুব ভৌতিক একটা অদ্ভুত নাম। কিন্তু কেমন করে যেন লোককথার মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জিনিসটা খুব পরিচিত হয়ে গেছে।
‘আমার কাছে মনে হয়েছিল এই ভূতের গল্পগুলোও একই রকম। কোথাও লেখা নেই। পুরাটা লোককথা। কিন্তু মুখে মুখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে গেছে। সো ফাইনালি, পেটকাটা ষ-কে পেটকাটা ষ বলতে চাই; লিখতে চাই। আর ভূতের গল্পগুলোকে আমার মতো করে আধুনিকভাবে একত্রিত করতে চাই।’