আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক আমি নিজে
বিনোদন

আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক আমি নিজে

‘এক জনমে হাজার মরণ’ শিরোনামের নতুন গান আসছে আপনার। গানটি কী ধরনের?

ফোক ঘরানায় তৈরি হয়েছে গানটি। কথা, সুর ও সংগীতায়োজন মিলিয়ে এটাকে ফোক ফিউশন বলা যায়। এক জনমে হাজার মরণ গানটি আমার জন্য বিশেষ একটা গান। ফোক গান আগে গেয়েছি; কিন্তু এ ধরনের ফোক ফিউশন গাওয়া হয়নি। গানটিতে অন্য রকমভাবে আমাকে পাওয়া যাবে। গানের কথা লিখেছেন রাকিব হাসান রাহুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন অদিত রহমান। কয়েক দিন আগে এফডিসিতে গানটির ভিডিওর শুটিং হয়েছে। এটা আমার ইউটিউব চ্যানেলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে। ভিডিও পরিচালনা করেছেন সৈকত নাসির।

এখন গানের ক্ষেত্রে মিউজিক ভিডিওকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সেটা মাথায় রেখেই কি গানের ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে?

তেমন কোনো ভাবনা ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ের ট্রেন্ডি চিন্তা আমি কেন করব? আমার তো অনেক হিট গান আছে। গান হিট করানোর জন্য অনেক টাকা খরচ করে ভিডিও বানানোর দরকার নেই। ট্রেন্ডে থাকা বা একলাফে ওপরে ওঠার তাগিদ আমার কখনোই ছিল না। এখনো নেই। আমার ইউটিউব চ্যানেলটি পুনরায় চালু করার জন্যই এই গানের ভিডিও করা, অন্য কিছু নয়।

প্রায় চার বছর আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোনো গান প্রকাশ পায়নি। সম্প্রতি আবার এই মাধ্যমে সক্রিয় হচ্ছেন। এর কোনো কারণ আছে কি?

বিশ্বব্যাপী শিল্পীরা নিজেদের চ্যানেলেই গান প্রকাশ করছেন। আমি একে ইতিবাচক হিসেবে দেখি। এখন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে খুব বেশি গান প্রকাশিত হয় না। গানের চেয়ে নাটক নির্মাণেই বেশি মনোযোগী তারা। এখানে অর্থনৈতিক বিষয়টিও বড়। সেই বিবেচনা থেকেই হয়তো তারা পরিকল্পনা বদলেছে। বসে না থেকে শিল্পীরা যদি নিজেদের গান প্রকাশ করে নিজেদের চ্যানেল দাঁড় করাতে পারে, তাহলে সেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক। কিন্তু আমি এই ব্যাপারে একটু উদাসীন ছিলাম। দীর্ঘ সময় আমার ইউটিউব চ্যানেলে কোনো গান প্রকাশিত হয়নি। আমার প্রায় সব গান বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক দিন ধরে আমার চ্যানেলটি বসে আছে, এটা নিয়ে কাজ করা দরকার। ভাবলাম, আমি পিছিয়ে থাকব কেন?

এখন ইউটিউবের পাশাপাশি স্পটিফাইসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গান প্রকাশ করা হচ্ছে। এই মাধ্যমগুলো শিল্পীদের জন্য কতটা সহায়ক মনে হয়?

ইউটিউবে একটি গান হিট না করলে সেভাবে অর্থ পাওয়া যায় না। এই অ্যাপগুলোর কারণে গানের খরচ উঠে যায়। এখন তো ৫০টির বেশি অ্যাপ আছে। আমাদের দেশেও সময়ের সঙ্গে অ্যাপগুলোতে শ্রোতা বাড়ছে। মনে হয় অ্যাপগুলো শিল্পীদের পথটা মসৃণ করেছে। কারণ, শুধু ইউটিউব দিয়ে টাকা তোলা একটু কষ্টসাধ্য।

সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা।

কনসার্টের সময় চলছে। ব্যস্ততা কেমন?

নভেম্বর থেকে পুরোদমে ব্যস্ততা চলছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়মিত শো করছি। এখন তা শেষের দিকে। মার্চের শুরুতে রোজা শুরু হবে। সে সময় কোনো কনসার্ট হয় না। এ ছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে বরাত। তাই এবার ভালোবাসা দিবসের কনসার্ট হবে না। কনসার্টের পাশাপাশি সিনেমা ও নাটকের গানেও ব্যস্ততা আছে। ভালোবাসা দিবসের কয়েকটি নাটকের গানে কণ্ঠ দিয়েছি। ‘নাকফুল’, ‘করপোরেট’ এবং ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ সিনেমায় আমার গান রয়েছে। গানগুলো কিছুদিন পরেই প্রকাশিত হবে।

কোন ধরনের গান শুনতে পছন্দ করেন?

একটু সফট ধরনের, গজল ঘরানার গান শুনতে ভালো লাগে। তবে আমি যেহেতু গানের মানুষ, তাই সব ধরনের গান শোনা হয়। এখন নিজের গান বেশি শোনা হচ্ছে। কারণ, আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক আমি নিজে। যে গানগুলো তৈরি হয়ে আছে, সেগুলো বারবার শোনা হচ্ছে। কোথাও কোনো ভুল আছে কি না, তা খোঁজার চেষ্টা করছি।

Source link

Related posts

গল্পের নায়িকা হয়ে কাজ করতে চান দীপা খন্দকার

News Desk

শাহরুখকে নিয়ে ছেলের মন্তব্যে তোলপাড়

News Desk

গোপনে বাগদান সেরেছেন ক্যাটরিনা-ভিকি!

News Desk

Leave a Comment