ডা. জুবাইদা রহমান কেবল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ কিংবা নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান শহীদ রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কন্যাই নন, এর বাইরেও তিনি আপন মহিমায় ভাস্বর, আপন বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। ডা. জুবাইদা রহমান নিজ মেধা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে বিশ্বের ৫৫টি দেশের মধ্যে সেরা চিকিৎসকের স্বীকৃতি পেয়েছেন। শিক্ষা জীবনে ডা. জুবাইদা রহমান কখনো দ্বিতীয় হন নি, না দেশে না বিদেশে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইতিহাসে ডিস্টিংশনসহ সর্বোচ্চ মার্কস পেয়ে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন তিনি। জুবাইদা ইমপেরিয়াল কলেজ অব লন্ডন থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মাস্টার্স অব কার্ডিওলজি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। চার বছরের মাস্টার্স অব কার্ডিওলজিতে (এমএসসি ইন কার্ডিওলজি) ডিস্টিংশনসহ শতকরা ৮৩ ভাগ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন জোবায়দা। যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউই), কমনওয়েলথভুক্ত দেশ, নাইজেরিয়া, চীনসহ মোট ৫৫টি দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা এই কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন। এ কোর্সে প্রথম হয়েছিলেন ডা. জুবাইদা রহমান। ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে উন্নীত হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাকরি বেছে নেন তিনি।

সম্পূর্ণ প্রোফাইল
| পুরো নাম: | জুবাইদা রহমান | 
| ডাক নাম: | জুবাইদা রহমান | 
| পেশা: | চিকিৎসক,রাজনীতিবিদ | 
| জন্মস্থান: | ঢাকা | 
| কি কারণে বিখ্যাত: | চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ | 
| জাতীয়তা: | বাংলাদেশী | 
| ধর্ম: | ইসলাম | 
| লিঙ্গ: | মহিলা | 
| রাশি: | আপডেট হবে | 
শিক্ষা স্কুল এবং কলেজ
| কেজি স্কুল: | আপডেট হবে | 
| হাই স্কুল: | আপডেট হবে | 
| কলেজ: | ঢাকা মেডিকেল কলেজ (এমবিবিএস) | 
| বিশ্ববিদ্যালয়: | ইমপেরিয়াল কলেজ অব লন্ডন (মাস্টার্স অব কার্ডিওলজি) | 
| শিক্ষা: | মাস্টার্স অব কার্ডিওলজি(ইমপেরিয়াল কলেজ অব লন্ডন) | 
পারিবারিক তথ্য
| পিতা | রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান(সাবেক নৌবাহিনী প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী) | 
| দাদা | আহমেদ আলী খান(ভারতবর্ষের প্রথম মুসলিম ব্যারিস্টার) | 
| দাদী | জুবাইদা খাতুন(অবিভক্ত আসাম,বিহার ও উড়িষ্যার জমিদার খান বাহাদুর ওয়াসিউদ্দিন আহমেদ’র মেয়ে) | 
| প্রপিতামহঃ | ডা:খানবাহাদুর আজদার আলীখান(বিহার ও আসাম মেডিকেল কলেজ’র প্রতিষ্ঠাতা) | 
| চাচা-১ঃ | জেনারেল এম.এ.জি.ওসমানী(মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক) | 
| চাচা-২ঃ | আজমল আলি(অবিভক্ত পাকিস্থানের মন্ত্রী) | 
| চাচা-৩ঃ | ডা:সেকেন্দার আলী খান | 
| চাচাতো বোনঃ | আইরিন খান(অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’র সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল) | 
বৈবাহিক অবস্থা:
| বৈবাহিক অবস্থা: | বিবাহিত | 
| স্বামী | তারেক রহমান | 
| কন্যা | জাইমা রহমান (কন্যা) | 
| শশুর | লেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমান (বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি) | 
| শাশুড়ি | বেগম খালেদা জিয়া (বাংলাদেশের নির্বাচিত ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী) | 
প্রাথমিক জীবন
ছোটবেলা থেকেই ডা. জুবাইদা রহমান ছিলেন বিজ্ঞান চর্চায় আগ্রহী। শৈশবে স্বপ্ন দেখতেন বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট হয়ে দেশসেবা করবেন। চিকিৎসক হয়ে তিনি প্রতিনিয়ত দেশের প্রান্তিক মানুষের সেবা করে গেছেন। আজ প্রায় একযুগ দেশের বাইরে থেকে হয়তো প্রত্যক্ষভাবে দেশের মানুষের কাছে এসে চিকিৎসাসেবা দিতে পারছেন না। কিন্তু বিজ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে যা যা করণীয় তা করার ক্ষেত্রে কোনো প্রচেষ্টাই বাকি রাখছেন না। দেশে বিজ্ঞানের প্রসারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিষ্ঠিত জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই দম্পতি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আয়োজন করেছেন করোনাকালীন সময়ে ভার্চুয়াল বিজ্ঞানমেলার।
শৈশবে জুবাইদা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জাতীয় শিশু সংগঠনের সদস্য ছিলেন। এই সুবাদে অনেক অনুষ্ঠানেই তিনি পেয়েছেন শহীদ জিয়ার সান্নিধ্য। তার সেই দিনগুলো স্মৃতির মণিকোঠায় অম্লান, অক্ষয়।
শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়ার নির্দেশনায় প্রবর্তিত ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন জুবাইদা। তার পছন্দের বিষয়গুলো ছিল পল্লীগীতি, দেশাত্মবোধক গান, নজরুল ও রবীন্দ্র সংগীত, গল্প বলা এবং দলীয় সংগীত।
ডা. জুবাইদা রহমান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এমডি (কার্ডিওলোজি) কোর্সের ৩য় পর্বে অধ্যয়নরত অবস্থায় মারাত্মকভাবে অসুস্থ স্বামীর উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয় কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় ছুটি (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর পার-৫/ছুটি-১৭/ শিক্ষা/২০০৮/১১২৮, তারিখঃ ০৩.১১.২০০৮) গ্রহণ করে যুক্তরাজ্যে গমন করেন। নির্ধারিত ছুটির মেয়াদ শেষ হবার পূর্বেই সরকারি নিয়ম মেনে তিনি পুনরায় ছুটির জন্য আবেদন করলে মন্ত্রণালয় পুনরায় তিন মাসের জন্য ছুটি মঞ্জুর করে। উল্লেখ্য, তিনি বিনা বেতনে বহিঃবাংলাদেশ ছুটি ভোগ করছেন বিধায় বিদেশে থাকাকালীন সময়ে সরকারি কোষাগার হতে কোনো বেতন-ভাতা গ্রহণ করেননি।




