ঝালকাঠির রাজাপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ১১টি ঘর ভেঙে পড়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এবং পরিমাণে কম দিয়ে কাজ করায় ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ঘরগুলো নির্মাণ কাজ চলছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জমি নেই, ঘর নেই এমন পরিবারের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় উপজেলায় ৩৩৩টি ঘরের মধ্যে এই প্রকল্পে ৪৬টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণের ব্যয় রাখা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এ প্রকল্প ছাড়া অন্যান্য প্রকল্প থেকে ইতিমধ্যে ১১৫টি গৃহনির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সরাসরি এ নির্মাণকাজ দেখভাল করছে। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় দুলাল গাজী, গোলাম মোস্তাফ, আব্দুল খলিল, মাওলানা ওহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পোনা নদীর পাড়ে নিচু জমিতে স্বাভাবিক জোয়ারেই পানিতে ডুবে যায়। এই নিচু জায়গায় বর্ষার মৌসুমে পানিতে ডুবে থাকে।
সম্প্রতি ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোয়ারের স্রোতে নির্মাণাধীন স্থানে পানি উঠে ঘরের মেঝের বালু সরে গিয়ে ১১টি ঘরের বারান্দাসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। নামমাত্র বালু ভরাট করে সঙ্গে সঙ্গে ইট বিছিয়ে নির্মাণকাজ করায় এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এ ছাড়াও উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশকাহনিয়া প্রকল্প, সদর ইউনিয়নের কৈবর্তখালী ক্লাব প্রকল্পের কয়েকটি ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ছাড়াও নিচু জমিতে এসব ঘর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন করে স্থানীয়রা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ দাবি করেন, নিয়ম মেনেই প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বন্যার ক্ষতিতে আমাদের কারো হাতে নেই। রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, আমরা প্রকল্পে কাজ শুরু করার আগে এই জমিতে প্রায় আড়াই ফুট বালু ফেলে আশপাশের ঘরের সমান উঁচু করে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু ইয়াসের প্রভাবে পানি বৃদ্ধির কারণে বালু সরে গিয়ে কয়েকটি ঘরের ক্ষতি হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মেরামতের কাজ শুরু করেছি।
সূত্র :আমার বরিশাল ২৪