Image default
বাংলাদেশ

কক্সবাজারের জেলা জজের প্রত্যাহার চেয়ে আদালত বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার, সাক্ষ্য দেওয়ার সময় প্রভাব বিস্তার, অশোভন আচরণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলকে কক্সবাজার আদালত থেকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন বলে জানান আইনজীবীরা।

সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার।

সভায় জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, মমতাজ আহমেদ, আবুল কালাম সিদ্দিকী, শাহজালাল চৌধুরী, নুরুল আলম, আবুল আলা, সৈয়দ আলম, মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আয়াছুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন, সুলতানুল আলম, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, আবদুল কাশেম, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ তারেক, আহমদ কবির ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া সভায় অংশ নেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম, সাবেক পিপি নুরুল মোস্তফা মানিকসহ জেলা বারের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সব আইনজীবী।

অ্যাডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল বলেন, ‘একজন বিজ্ঞ বিচারক হিসেবে জেলা ও দায়রা জজ বিচারকাজ চলাকালীন আইনজীবীদের নিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তা মোটেও কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী সমিতির নেতারা জেলা জজের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তিনি একই আচরণ অব্যাহত রাখেন। গত ১৩ অক্টোবর জেলা বারের জরুরি সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বেঞ্চের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি তুলে ধরে তা সমাধানের পদক্ষেপ নিতে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলকে অনুরোধ জানানো হয়। তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও নেননি। উল্টো আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ অবস্থায় সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে জেলা ও দায়রা জজ আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন চলবে।’

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশ তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো বিচারকার্য পরিচালনা করেন জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। মিস মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ উন্মুক্ত আদালতে না দেওয়ার সুযোগে স্টাফরা দুর্নীতির আশ্রয় নেন। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও নেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এসব কারণে আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’

Related posts

টাঙ্গাইলের আট আসনে চলছে শান্তিপূর্ণ ভোট

News Desk

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের মৃত্যু

News Desk

অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র নিজেরাই লিখে আনলেন ছাত্রদলের নেতারা

News Desk

Leave a Comment