Image default
বাংলাদেশ

৪০ মিনিটের পথে লাগছে ৫ ঘণ্টা

উত্তরের পথে যানজট ও প্রখর রোদে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখী মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থেকে শিশু-নারীসহ সাধারণ যাত্রীরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাসে আসন না পেয়ে এবং অধিক ভাড়া এড়াতে অনেকে খোলা ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে গাদাগাদি করে বাড়ি যাচ্ছেন। যানজটের অবস্থা জানিয়ে যাত্রীরা বলছেন- চন্দ্রা থেকে রাবনা বাইপাসের ৪০ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে পাঁচ ঘণ্টার বেশি। শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদযাত্রায় মানুষ রাজধানী থেকে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও বাসের ছাদে গাদাগাদি করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। সড়কে তীব্র যানজট থাকায় যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে প্রখর রোদের কারণে সড়কের পাশের বাড়ি, দোকান ও সিএনজি পাম্প থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করছেন। আবার অনেককে মাথায় পানি ঢালতেও দেখা যায়। অনেকে ছাতা, গামছা, পলিথিন ও কলা গাছসহ বিভিন্ন গাছের পাতা দিয়ে নিজেদের ঢেকে রাখছেন। খাবার ও প্রস্রাব-পায়খানা না করতে পেরেও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। 

যানজটের অবস্থা বর্ণনা করে মিরাজ নামের এক বাসযাত্রী বলেন, ‘স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে ঈদ করতে রংপুরের বাড়িতে যাচ্ছি। সকাল ৯টায় চন্দ্রা থেকে বাসে উঠেছি। দুপুর ২টায় রাবনা বাইপাস পর্যন্ত এসেছি। স্বাভাবিক সময়ে এখানে আসতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে। আজ যানজটের কারণে সেখানে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে। একদিকে যানজট আরেকদিকে প্রখর রোদ। সব মিলিয়ে খুব দুর্ভোগে আছি।’

ট্রাকে বাড়ি ফিরছেন রেজাউল হক। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে কোনাবাড়ি থেকে ট্রাকে উঠেছি। সড়কে প্রচুর যানজট। বেলা আড়াইটায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত এসেছি। স্বাভাবিক সময়ে কোনাবাড়ি থেকে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত আসতে। কিন্তু আজ সময় গেলেছে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। যানজট ও প্রচণ্ড রোদে অনেক কষ্টে আছি।’ 

 মাহবুব নামের আরেক ট্রাকযাত্রী বলেন, ‘এমনিতেই যানজটে সমস্যায় আছি। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে রোদ। ট্রাকের কয়েকজন হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তাদের মাথায় পানি ঢেলে কিছুটা সুস্থ করা হয়।’

স্বপন নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘আমি সকাল ৭টায় হাজারীবাগ থেকে নাটোর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বেলা সোয়া ৩টায় এলেঙ্গা পর্যন্ত এসেছি। অন্যান্য সময়ে মাত্র তিন ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু আজ সেখানে সোয়া ৮ ঘণ্টায় মাত্র এলেঙ্গা এসেছি। নাটোর যেতে কত সময় লাগবে তা জানি না।’

 এদিকে, ভোর থেকে মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে করটিয়া হাট বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে গাড়ি উত্তরের পথে এগোচ্ছে। কিছু সময় এগিয়ে আবার গাড়ি থেমে যাচ্ছে। 

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, গাড়ির চাপ রয়েছে। এজন্য গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। সন্ধ্যার দিকে সড়ক স্বাভাবিক হতে পারে। 

Source link

Related posts

পাঁচ ভাইকে চাপা দেওয়া পিকআপ চালক ৩ দিনের রিমান্ডে

News Desk

‘ধানও পাইলং না, পোয়ালও পাইলং না’

News Desk

খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল

News Desk

Leave a Comment