Image default
বাংলাদেশ

সিলেট নগরীর সব ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ১০ দিন বন্ধের নির্দেশ

সিলেট নগরীর সব ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট আগামী দশ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য ভবনের বাসিন্দাদেরও অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে।

আজ রবিবার বিকাল ৩টায় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরীর কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটে গিয়ে নির্দেশনা দিয়ে আসেন। তখন তার সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা ছিলেন।

সিলেট নগরীতে গতকাল শনিবার ও আজ রবিবার কয়েক দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলেটে আগামী এক সপ্তাহে বড় ধরনের ভূমিকম্পের শঙ্কা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে অভিযানে নামে সিলেট সিটি করপোরেশন। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের আগামী ১০ দিন মার্কেট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান মেয়র আরিফ। তিনি জানান, সিলেট নগরীতে দফায় দফায় ভূমিকম্পের কারণে সিলেটে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এসব ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে ঝুুঁকিপূর্ণ সব মার্কেট অন্তত ১০ দিন বন্ধ রাখতে হবে।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ মিতালী ম্যানশন, রাজা ম্যানশন, বন্দরবাজারের সিটি সুপার ও মধুবন সুপার মার্কেট আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত। এভাবে সিলেট নগরীর সব ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ও ভবনের কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিন বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বাসাবাড়ির বাসিন্দাদেরও আগামী ১০ দিন অন্যত্র থাকতে হবে।

মেয়রের নির্দেশনার পর এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বৈঠকে বসেছেন মার্কেটগুলোর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, কয়েকটি মার্কেটে অভিযান শেষে মেয়র আরিফের নেতৃত্বে সিসিক ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল নগরীর পাঠানটুলায় যায়। ভূমিকম্পের কারণে সেখানকার হেলে পড়া দুটি ৬ তলা বাসা পরিদর্শন করেন তারা। বর্তমানে দুটি ভবন একটি অপরটির দিকে অন্তত দুই ফুট করে হেলে আছে। বাসাগুলো পরিদর্শন শেষে ভবন দুটির বাসিন্দাদেরও আগামী ১০ দিনের জন্য অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সিটি করপোরেশন।

প্রসঙ্গত, সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ভবনগুলো হলো- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজারস্থ সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালী ম্যানশন, দরগাগেইটের হোটেল আজমীর, বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ, শেখঘাট শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজাম্যানশন, পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজ, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭/৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭/৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, বনকলাপাড়া নূরানী-১৪, ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণী মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার।

Related posts

সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলা প্লাবিত

News Desk

এক ঘণ্টা ১৩ মিনিটে কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতুতে ট্রেন

News Desk

খুলনায় চীনাদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা

News Desk

Leave a Comment