সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন বিজেপির সাবেক সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গরিব মানুষেরা খেতে পাচ্ছে না, তাই ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করছে।’ এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারতের অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষের বাথরুম সুবিধা নেই। অমিত শাহকে একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে তার জ্ঞান সীমিত। আমাদের দেশে এখন কেউ না খেয়ে মরে না। এখানে কোনো মঙ্গাও নেই।
ভারতের ৫০ শতাংশ মানুষ বাথরুম ব্যবহারের সুযোগ পায় না। আমাদের দেশে এই সুবিধা প্রায় শতভাগ। বাংলাদেশে হয়তো শতভাগ লোকের কর্মসংস্থান নেই, তবে তা ভারতের চেয়ে ভালো। অন্যদিকে অমিত শাহের দেশের লক্ষাধিক লোক বাংলাদেশে চাকরি করে। আশাকরি, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব ভালো করে জেনে তারপর বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলবেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় অমিত শাহের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশে আর্থিক উন্নয়নের পরও দেশটির মানুষ পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করছে কেন- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া দেশে উন্নয়ন শুরু হয় কেন্দ্র থেকে। তার সুফল প্রথমে পায় বড়লোকেরা, গরিবদের কাছে পৌঁছায় না। বাংলাদেশে এখন এই প্রক্রিয়াই চলছে।
বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন সীমান্তবর্তী এলাকায় পৌঁছায়নি উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, এর ফলে গরিব মানুষেরা এখনও খেতে পাচ্ছে না। তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে।