Image default
বাংলাদেশ

ফুলবাড়ীর পল্লীতে বাদশা মিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ

মোঃ আফজাল হোসেন: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদীঘি ইউপির শাহাপুর গ্রামে মৃত আব্দুস সালামের পুত্র মোঃ বাদশা মিয়া (৪৫) পুকুরের পাহারাদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। হত্যার দেড় বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত ফুলবাড়ী থানার পুলিশ বাদশা মিয়া হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।

ফুলবাড়ী থানার পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় অবশেষে দিনাজপুর পিবিআই সংস্থা কে মামলাটি হস্তান্তর করেন ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুল ইসলাম। উল্লেখ্য যে, ২৩ জানুয়ারী শুক্রবার ২০২০ ইং সালে স্থানীয় দূর্বত্তরা দিবগত রাত্রীতে তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেন। মোঃ বাদশা মিয়া দূর্বত্তের সুরিকাঘাতে খুন হন।

হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য এলাকার ফয়জুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি পুলিশ সুপার বরাবর একটি আবেদন করেন প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য । বিরামপুর উপজেলার দেশমা ইউপির পুইনন্দা গ্রামে আব্দুল এর পুত্র মোঃ রানা ৬টি পুকুরের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার নিয়ন্ত্রনে ৬ জন দায়িত্ব পালন করেন পুকুরগুলির।

বাদশা হত্যার প্রকৃত খুনি করা? কে তাকে হত্যা করল? তার কোন কুলু উদঘাটন করতে পারেনি ফুলবাড়ী থানার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তবে অতি গোপনে খবর নিয়ে জানা যায় ফুলবাড়ী থানার পুলিশ প্রথমে যাকে আটক করে থানায় আনেন সেই প্রকৃত হত্যার রহস্যর সাথে জড়িত ছিল বলে এলাকাবাসীর ধারনা।

ফুলবাড়ী থানার পুলিশ কেন এ হত্যার রহস্যটি উদঘাটন করতে পারলনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দিনাজপুর পিবিআই এর কাছে মামলাটি হস্ত্যান্তর করলেও এখন পর্যন্ত হত্যার সাথে কারা জড়িত তা উদঘাটন করেননি। পূর্বের সত্রুতার রেশ ধরে তাকে প্রতিপক্ষরা হত্যা করতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন। যাইহোক না কেন এই লোমহস্য হত্যার রহস্য কেন উদঘাটন হচ্ছে না তা রহস্যজনক। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী মোছাঃ ফরিদা বেগম বাদি হয়ে গত ২৩/০১/২০২০ ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় স্বামী হত্যার মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ২০। এমন হত্যার ঘটনা ফুলবাড়ীতে ১২ থেকে ১৪ টি রয়েছে।

কিন্তু কেন এসব হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি তা নিয়ে আইন প্রয়োগ কারী সংস্থার কোন মাথা ব্যাথা নেই। তাহলে কি প্রত্যেকটি হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে না? বাদশা মিয়ার পরিবার কি হত্যার বিচার পাবে? না অবশেষে সব ধামাচাপা পড়ে যাবে? এসব হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনে কাঠগড়ায় দাড় করাতে না পারলে তারা একটার পর একটা হত্যা করতেই থাকবে। এসব হত্যার ঘটনা ঘটেছে বেতদীঘি ইউনিয়ন, কাজিহাল ইউনিয়ন, আলাদীপুর ইউনিয়ন, শিবনগর ইউনিয়ন ও এলুয়াড়ী ইউনিয়নে।

ফুলবাড়ী থানার পুলিশ এক শ্রেণীর সাংবাদিককে ডেকে থানার বিভিন্ন তথ্য দেন কিন্তু তার অর্ধেক সাংবাদিক ফেসবুক সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব তাদের নাই। যারা প্রকৃত সাংবাদিক তাদেরকে ফুলবাড়ী থানার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোন তথ্য দিতে চান না বা তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফখরুল ইসলাম দায়িত্ব ভার গ্রহণ করার পর গত ২ বছর ধরে ফুলবাড়ী থানা চালানোর মধ্যে সাধারণ মানুষ তার নিকট এসে সুষ্ঠু কোন বিচার পাননি। তিনি পক্ষ বিপক্ষ দু-পক্ষের মধ্যে উৎকোচ নিতেন। এমন অভিযোগ আইন প্রয়োগকারী সংস্থ্যর উধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছেও রয়েছে। বাদশা মিয়ার হত্যার রহস্যটি যাতে ধামাচাপা না পড়ে সে দিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসী আইপ্রয়োগকারী সংস্থার আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Related posts

রামপালে সৌদি খেজুর চাষে সাফল্য, কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা

News Desk

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

News Desk

সিলেটে আবারও ভূমিকম্প, হেলে পড়েছে দুটি ৬তলা ভবন

News Desk

Leave a Comment