Image default
বাংলাদেশ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে ঐক্যমত বিএনপি-কল্যাণ পার্টি

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করতে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বিএনপি।

রোববার বিকালে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।

ফখরুল বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে আমরা যে কয়েকটি প্রধান বিষয় নিয়ে আন্দোলন শুরু করব সেই দাবিগুলোর বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপের কারণ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রথম দফা সংলাপে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছিলাম যে, একটা যুগপৎ আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলব। দ্বিতীয় দফা সংলাপে আমরা কোন কোন দাবিতে বা কোন কোন ইস্যুতে আন্দোলনটা করব সেই বিষয়ে আলোচনা করে ঐক্যমতে এসেছি। দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হবে বলে জানান তিনি।

প্রথম দফায় ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। সেই প্রস্তাবগুলোসহ দলের কর্মপরিকল্পনা যুক্ত করে একটা খসড়া তৈরি করে বিএনপি। আগামী দিনের আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে করণীয় রয়েছে এ খসড়ায়।

দ্বিতীয় দফা সংলাপে রাজনৈতিক দলের কাছে এ খসড়া তুলে দেওয়া হবে। এরপর তাদের নতুন কোনো প্রস্তাব থাকলে তা যুক্ত করা হতে পারে। সংলাপ শেষে সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে চূড়ান্ত রূপরেখা। যা জাতির সামনে তুলে ধরবে দলটি।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে এই সংলাপ হয়। এতে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অন্য সদস্যরা হলেন- দলটির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল কবির পিন্টু, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্যা, মাহবুবুর রহমান শামীম, জামাল হোসেন, আবু হানিফ, আবু ইউসুফ।

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যমতের মধ্যে রয়েছে- আমরা এই সরকারের পদত্যাগ চাই। সংসদ বিলুপ্ত করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। একইসঙ্গে আমরা গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া যাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে, তিনিসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি এবং যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে সেই মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও একমত হয়েছি।

Related posts

আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামছে আজ

News Desk

রেল ব্রিজের নিচে পরেছিল যুবকের লাশ

News Desk

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে হাট-বাজার

News Desk

Leave a Comment