কুড়িগ্রামে ১১ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা, লাখো মানুষের দুর্ভোগ
বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে ১১ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা, লাখো মানুষের দুর্ভোগ

পাঁচ দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় নাজেহাল কুড়িগ্রামের লাখো মানুষ। এর মধ্যে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নেমে আসায় মানুষের কষ্টের মাত্রা আরও বেড়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জেলার রাজারহাটে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার এই স্কেলে বড় কোনও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

এদিকে, ধারাবাহিক নিম্ন তাপমাত্রায় কষ্টে দিনাতিপাত করছে জেলার কয়েক লাখ মানুষ। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের কষ্টের মাত্রা কয়েকগুণ বেশি। অনেক পরিবার শীতবস্ত্রের সংকটে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে অনেকে। খেটে খাওয়া, দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন জীবিকার তাগিদে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন। তবে শীতে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

জেলা সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের ধরলা তীরের দিনমজুর হুজুর আলী বলেন, ‘আমাদের এদিকে খুব শীত। অনেক ঠান্ডা। গরম কাপড়চোপর নাই। ঠান্ডার জন্য কাজ কামাই কিছু করবার পারতেছি না। খুব কষ্টে আছি। কাপড়চোপর পাওয়া গেইলে কিছু ঠান্ডা নিবারণ করা গেইলো হয়। কিন্তু আমাদের এদিকে কেউ কম্বল নিয়া আইসে না। সরকারি সাহায্যও পাই না।’

একই ইউনিয়নের নির্মাণশ্রমিক মিজান বলেন, ‘খুব ঠান্ডা। ম্যালা মানুষ কষ্টে আছে। এমন চললে কাম করি খাওয়া কষ্টকর হয়া যাইবে।’ একই পরিস্থিতির খবর পাওয়া গেছে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের চরাঞ্চলে।

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, চলমান শীতে প্রায় ৬৩ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিতরণ চলমান রয়েছে। এছাড়া শীতার্ত মানুষের গৃহসংস্কারের জন্য টিন এবং খাদ্য সহায়তার জন্য শুকনা খাবার রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো বিতরণ করা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘আমরা শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র পৌঁছানো নিশ্চিত করছি। যেসব এলাকায় এখনও শীতবস্ত্র পৌঁছায়নি সেখানে দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’  এছাড়া শীতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা বিতরণসহ মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘দুই-চার দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তবে জানুয়ারিতে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।’

Source link

Related posts

উদ্বোধনের পরপরই বন্ধ চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল

News Desk

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের নিয়োগ নিয়ে নাটকের পর নাটক

News Desk

বউ-শাশুড়ির ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেলো একজনের

News Desk

Leave a Comment