Image default
বাংলাদেশ

ঈদ ঘিরে প্রস্তুত চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলো 

ঈদে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। দর্শনার্থী টানতে বিনোদন স্পটগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। ঈদকে ঘিরে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ধোয়া-মোছার পাশাপাশি বিভিন্ন রাইডে রং করে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে।

ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) থেকে খোলা থাকবে চট্টগ্রামের সবকটি বিনোদন কেন্দ্র। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—  চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আনোয়ারা পারকি সৈকত, কনকর্ড ফয়স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড, কাজির দেউড়ি শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্ক, পতেঙ্গা নেভালসহ অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রগুলো।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদে দর্শনার্থীদের বরণে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন সকাল থেকে চিড়িয়াখানা খোলা থাকবে। আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রাইডে রং করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার ঈদের চার-পাঁচ দিনে প্রায় লক্ষাধিক দর্শনার্থী আসার সম্ভাবনা আছে। সে লক্ষ্যে আমরা কিছু মেরামত কাজও সেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে চিড়িয়াখানায় মরিচা পড়া খাচাগুলো ঘষে মেজে, নতুন করে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। সম্প্রতি এই চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের জন্য পাশের কয়েকটি পাহাড়ঘিরে গড়ে উঠা ওয়াকওয়ে দর্শনার্থীদের নতুন মাত্রা দিয়েছে। এবার চিড়িয়াখানার বিশেষ আকর্ষণ বাঘ দম্পতি জো-বাইডেন আর জয়ার সন্তানরা। ইতোমধ্যে তারা নিজেদের মতো করে খাচার ভেতরে ঘুরাঘুরি শুরু করেছে। পাশাপাশি দেখা মিলেছে অজগরের বাসায় একুরিয়াম স্টাইলে ঘর।’

চিড়িয়াখানার পাশেই নগরীর কনকর্ড ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি-ওয়ার্ল্ড সেজেছে নতুন সাজে। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সেখানেও নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ৩৩৬ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত নগরীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক কমপ্লেক্স যার মধ্যে রয়েছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে আঁকাবাঁকা লেক। অ্যামিউজমেন্ট পার্কে সাজানো হয়েছে অনেকগুলো রাইড নিয়ে। উল্লেখযোগ্য রাইডগুলোর মধ্যে রয়েছে, সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, ফেরিস হুইল, পাইরেট শিপ, কফিকাপ, রেড ড্রাইল্লাইড, ইয়োলো ড্রাই-স্লাইড, বাগ বইন্স ইত্যাদি। খাবার-দাবারের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট। যেখানে পাওয়া যায় দেশি-বিদেশি নানা রকম খাবারের অ্যাডভেঞ্চার। ঠিক পাশেই দেখা মিলবে হরেক রকম মাছের খেলা। অ্যামিউজমেন্ট পার্কের সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলেই দেখা মিলবে ফয়’স লেকের।

লেকের দু-পাশে রয়েছে সারি সারি পাহাড় আর হরেক রকম গাছ-গাছালি। এখানকার বিভিন্ন পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে অরুণিমা, জলটুঙ্গি, গোধুলি, অস্তাচল, আকাশমণি, বনশ্রী, হিমঝুরি, আসমানি, গগণদ্বীপ উদয়ণ প্রভৃতি নামে। পাহাড়ের ঠিক উপড়েই আছে ফটো কর্নার যেখানে দেখা মিলবে নানা ভঙ্গিতে হরেক রকম প্রাণির ভাস্কর্য। লেকের গা-ঘেঁষেই তৈরি করা হয়েছে সামুদ্রিক প্রাণিদের ভাস্কর্য নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পিকনিক স্পট অ্যাকুয়াটিক জোন। 

ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কের ডেপুটি ম্যানেজার (মার্কেটিং) বিশ্বজিৎ ঘোষ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ঈদে পর্যটক বরণে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। যে রাইডগুলো নষ্ট ছিল সেগুলোর সংস্কার হয়েছে। সব রাইডের সৌন্দর্য বাড়ানো হয়েছে। পার্কটাকে আরও আধুনিক করেছি। লেকে ভ্রমণের জন্য নতুন ইঞ্জিন বোট যুক্ত করা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা রিসোর্ট-বাংলো সংস্কার করা হয়েছে। ঈদের দিন দুপুর দেড়টা থেকে পার্ক খোলা থাকবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।’

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. ইস্রাফিল মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সৈকত। ঈদের ছুটিতে এখানে বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের সমাগম ঘটে। এ সৈকতের পাশে রয়েছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত একমাত্র টানেল। যে টানেল দেখতে প্রতিদিন জড়ো হয় অসংখ্য দর্শনার্থী।’

তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ সদর দফতর থেকে কিছু নির্দেশনা এসেছে। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। টহল পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। কোনও পর্যটককে হয়রানির তথ্য পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Source link

Related posts

‘এমন পরিবেশ পাবো, মিলেমিশে থাকবো, স্বপ্নেও ভাবিনি’

News Desk

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে আগামী সপ্তাহে চলবে পরীক্ষামূলক ট্রেন

News Desk

কাউন্টার ও অনলাইনে ট্রেনের টিকিট নেই

News Desk

Leave a Comment