ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়ার একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক সোনা ব্যবসায়ী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের সঙ্গে পুলিশ একটি চিরকুটও পেয়েছে। ওই চিরকুটে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার এক কাউন্সিলরসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। যাদেরকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের (৩৮) বাড়ি ঈশ্বরগগঞ্জ পৌরসভায়। তিনি একটি পৌর এলাকায় আপন জুয়েলার্স নামের একটি সোনা দোকানের মালিক। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকায় হোটেল হিলটনে অবস্থান করছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। ঋণের চাপে জর্জরিত এ ব্যক্তি একটি চিরকুটে কয়েকজনের নাম লিখে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরের আত্মীয় বাবুল মিয়া জানান, জাহাঙ্গীর শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। তিনি নিজেও অনেকের কাছে টাকা পেতেন এবং অন্যরাও তার কাছে টাকা পেতো। বেশ কিছুদিন ব্যবসার অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। তদন্তপূর্বক সত্য উন্মোচিত হবে এটাই প্রত্যাশা তার।
এদিকে, স্ত্রীসহ জাহাঙ্গীরের তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।