‘৪ দিনেও পার হতে পারিনি, খাওয়ার টাকাও শেষ’
বাংলাদেশ

‘৪ দিনেও পার হতে পারিনি, খাওয়ার টাকাও শেষ’

ঈদের পর থেকেই শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে তিন দিন ধরে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। চাপ বেড়েছে নরসিংপুর খুলনা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। এই ফেরিঘাটে চার কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। ট্রাকচালকদের অভিযোগ, তাদের একেকজনকে দুই থেকে তিন দিনেরও বেশি সময় ধরে ঘাট এলাকায় অবস্থান করতে হচ্ছে।

সেমবার (৯ মে) ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ছোট ও যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বরোডের খায়েরপট্টি এলাকা ছাড়িয়ে ফেরিঘাট পর্যন্ত চার কিলোমিটারের বেশি এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাড়ির বাড়তি চাপ নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে।

ট্রাক নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে আসা মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি গত দুই দিন আগে ঘাটে এসেছি। আজ ঘাট পার হতে না পরলে পেঁয়াজ পচে যাবে। মালিককে কী জবাব দেবো?’

সাতক্ষীরা থেকে আসা আরেক চালক সাইফুল বলেন, ‘৬ মে ঘাটে এসেছি। চার দিনেও ঘাট দিয়ে পার হতে পারিনি। খাওয়ার টাকা শেষ। আজ যেতে না পারলে না খেয়ে থাকতে হবে।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এ ঘাটে কাকলি, করোবি, কেতকি, কাবেরি, কামিনীসহ সাতটি ফেরি চালু রয়েছে। গত তিন দিন ধরে ঈদের কারণে যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।’

নরসিংহপুর ঘাটের ইজারাদার জিতু মিয়া বেপারী জানান, যাত্রীবাহী পরিবহন ও ফেরি কম থাকায় যানজট বেড়েছে। যে ফেরি রয়েছে, সেগুলো খুব পুরনো। ফেরি বাড়ানো হলে ঘাটে যানজট থাকবে না।’ এখনও ঘাটে প্রায় ছয় শতাধিক যানবাহন নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি। 

Source link

Related posts

কয়েলের আগুনে পুড়‌লো গরু ও ৬ ঘর

News Desk

ঈদে কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা

News Desk

নতুন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ

News Desk

Leave a Comment