Image default
বাংলাদেশ

২৩ কৃতী শিক্ষার্থীকে ভ্রমণ করানো হলো হেলিকপ্টারে

বগুড়ার একটি স্কুলের ২৩ কৃতী শিক্ষার্থীকে হেলিকপ্টারে আকাশ ভ্রমণের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ আয়োজন করা হয়। হেলিকপ্টারে শিক্ষার্থীদের স্কুলমাঠ থেকে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় এবং আশপাশের এলাকা দেখানো হয়।

টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের মধ্যে এবার ১১ জন এক হাজার ৩শ’ নম্বরের মধ্যে এক হাজার ২শ’ নম্বরের বেশি পেয়েছে। গত ২০২২ সালের পরীক্ষায় একই রকম ফল করা ছয় জন এখানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। এ ছাড়া প্রাথমিক শাখায় চার জন ট্যালেন্টপুলে এবং দুজন সাধারণ বৃত্তি লাভ করে। সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে এই ২৩ শিক্ষার্থীকে। তাদের মধ্যে ১২ জন ছেলে এবং ১১ জন মেয়ে।

ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে এই সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। তিনি কৃতী শিক্ষার্থীদের টিএমএসএসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিসিএল অ্যাভিয়েশনের হেলিকপ্টারে আকাশ ভ্রমণ করিয়ে সংবর্ধিত করার নির্দেশ দেন। তার আশা, এতে অন্য শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করতে অনুপ্রাণিত হবে।

প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রিন্সিপাল গুলশান আরা পারভিন মণি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির মাঠে ব্যতিক্রমধর্মী এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ ও মিষ্টিমুখ করানো হয়। এরপর বিসিএল অ্যাভিয়েশনের হেলিকপ্টারে চার জন করে ছয়বারে ২৩ শিক্ষার্থীকে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় এবং আশপাশের এলাকায় ভ্রমণ করানো হয়। প্রতিবার ভ্রমণের সময় ছিল ১০ মিনিট।

জানা গেছে, হেলিকপ্টারে ১০ মিনিট ভ্রমণ করতে জনপ্রতি ভাড়া লাগে চার হাজার টাকা। ফ্রি আকাশ ভ্রমণ করতে পেরে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও খুশি।

এসএসসি পরীক্ষায় এক হাজার ২শ’ ৫৮ নম্বর পাওয়া মাহমুদুল হাসান জানান, তার আকাশে ওড়ার স্বপ্ন অনেক দিনের। আজ হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করতে পেরে সে খুব খুশি। এ জন্য হাসান টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।

প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া মো. আবদুল্লাহ বলে, ‘অধ্যক্ষ স্যারের প্রতিশ্রুতি অনুসারে হেলিকপ্টারে আকাশ ভ্রমণ করতে পেরে আমরা খুব খুশি।’

এক হাজার ২শ’ ২০ নম্বর পাওয়া আনিশা বলে, ‘কখনও ভাবিনি এভাবে আকাশে উঠে আমার জন্মভ‚মি দেখবো।’

টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গুলনাহার পারভিন বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রæতি দিয়ে থাকি। যারা ভালো ফলাফল করে তাদের হেলিকপ্টারে আকাশে উড়িয়ে উদ্বুদ্ধ করি।’

অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘ব্যতিক্রমী এ সংবর্ধনা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আরও উৎসাহিত করবে। তাদের মনোবল আরও দৃঢ় করতেই এ আয়োজন করা হয়েছিল।‘

Source link

Related posts

স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

News Desk

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ

News Desk

বোয়ালখালী বজ্রপাতে এক দিন মজুরের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment