১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরকে আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে প্রতিনিধি দল নিয়ে স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন চেয়ারম্যান। এ সময় তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তাফিজুর রহমান, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্মকর্তারা। পরে স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘আখাউড়া স্থলবন্দরকে আরও উন্নত করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আমরা এডিপি থেকে ২১৭ কোটি টাকা পেয়েছি। আখাউড়া স্থলবন্দরে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় করবো। বেনাপোলের পর এই বন্দর দিয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। যাত্রীরা কোনও ধরনের সমস্যা ছাড়াই চলাচল করতে পারেন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যাত্রীদের জন্য টার্মিনাল তৈরির জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।’
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘ভারতও তাদের শূন্যরেখার পাশে টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু করেছে। আমাদের এদিকে ফোরলেন হচ্ছে। ফোরলেন রাস্তা আর যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণ হয়ে গেলে দুই বছর পর এই স্থলবন্দরে কোনও সমস্যা থাকবে না। আপাতত ছোটখাটো সমস্যাগুলো আমরা দেখছি। সেগুলা সমাধানের চেষ্টা করবো। বিশেষ করে স্থলবন্দরে ছোট ছোট গাড়ি দিয়ে যাত্রীসেবা দেওয়ার কথা চিন্তা করছি। নতুন যে স্থলবন্দরগুলো হচ্ছে সেগুলার মতো এখানেও মাল্টি এজেন্সি সার্ভিস সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। একই ভবনের ভেতরে সব ধরনের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বিধিমালা অনুযায়ী, শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের ভেতরে কোনও স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না বাংলাদেশ-ভারত। তবে পরবর্তী সময়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি চুক্তির মাধ্যমে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন, দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ চাইলে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই একে-অপরকে জানিয়ে রাখতে হবে। যেহেতু বেনাপোলের পর আখাউড়া স্থলবন্দরের গুরুত্ব বেশি সেহেতু আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মানুষ অনেক বেশি সুফল পাবেন। যাত্রী পারাপার আরও বাড়বে।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার, স্থলবন্দর চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. কবীর খান, আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ নোমান সিদ্দিকী ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আবু বক্কর প্রমুখ।
এরপর আগরতলা স্থলবন্দর পরিদর্শনে যান স্থলবন্দর চেয়ারম্যান। এ সময় দুই দেশের শূন্যরেখায় তাকে স্বাগত জানান ত্রিপুরা রাজ্যের ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের ব্যবস্থাপক দেবাশীষ নন্দীসহ সংশ্লিষ্টরা।